মানুষ কতোটা সাহসী হতে পারে? কোনো্ কোনো সময় সাহস দেখানোটাই বোকামির নামান্তর হয়ে যায়। কিন্তু যারা ডাকাবুকো স্বভাবের তারা কি আর অপরের সাবধানবাণীতে কান দেয়? কিন্তু ধরুন, ফনা তোলা বিষধর সাপের সামনে পড়েন বা বনের ভেতর থেকে পাগলা হাতি তেড়ে আসে আপনার দিকে তখন? তখনও কি অকুতোভয়, অবিচল দাঁড়িয়ে থাকবেন? ছুটে পালাবেন না? দাঁতাল ক্ষিপ্ত বুনো হাতিকে তেড়ে আসতে দেখেও নির্ভয়ে ঠায় দাঁড়িয়ে থাকার মতো বুকের পাটা কার আছে? হ্যাঁ, এমন লোকও কিন্তু আছে দুনিয়ায়! সাহসের এমন অবিশ্বাস্য পরাকাষ্ঠাই দেখালেন এক থাই পর্যটক।
তরুণ ওই পর্যটক তার ছুটির দিনটাকে স্মরণীয় করে রাখতে জঙ্গলে ফটো ও ভিডিও সেশনে মগ্ন ছিলেন। বলা নেই কওয়া নেই হঠাৎই তার দিকে তেড়ে এলো এক অতিকায় দাঁতাল হাতি। কিন্তু না, নিজের জায়গা থেকে একচুল নড়লেন না এই ডাকাবুকো তরুণ থাই।
তিনি হাতিটাকে তার ছুটির দিনের ফটো সেশনের আনন্দটা মাটি করতে দেবেন না বলে পণ করলেন: The man from Thailand decided he wouldn't let an angry Asian elephant ruin his holiday film.
তো তিনি করলেনটা কি? হাতিটার দিকে পলকহীন তাকিয়ে ঠায় দাঁড়িয়ে রইলেন তিনি। প্রাণের ভয় বলে যে একটা কিছু আছে তার সামান্যতম লক্ষণও দেখা গেল না তার মধ্যে। তিনি হাতিটার দিকে শান্ত হয়ে হাত নাড়লেন কেবল। আর হাতিটা কী মনে করে রণে ভঙ্গ দিয়ে চলে গেল অন্যদিকে। পর্যটকের গায়ে সামান্য আঁচড়টিও না দিয়ে। আর তরুণ পর্যটকটি ক্যামেরার দিকে চেয়ে বিজয়ীর হাসিটাই হাসলেন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, পর্যটককে মারতে এসে হাতিটাই বরং ঘাবড়ে গিয়ে পালাল। ভিডিওর শেষ দৃশ্যটিতে সেটাই দেখা গেছে: ‘The video ends with the elephant scampering away while trumpeting, while the tourist smiles triumphantly at the camera.’ বুঝিবা একেই বলে সাহসের বাড়াবাড়ি! তাও আবার মহা ক্ষিপ্ত হয়ে ছুটে আসা এক দাঁতাল বুনো হাতির সামনে! জয়তু সাহস!
বাংলাদেশ সময়: ০৪০৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৯, ২০১৫
জেএম