ঢাকা: ভক্তদের অপেক্ষার পালা শেষ আবির্ভূত দেবী দুর্গা। মহাষষ্ঠী থেকেই শুরু পূজার মূল আনুষ্ঠানিকতা, আনন্দ, উত্তেজনা।
পূজার ভোজের শেষ পাতে পরিতৃপ্তি অানতে বাঙালি সনাতনধর্মীয় প্রতিটি ঘরে পূজার কিছুদিন আগে থেকেই তৈরি হয় নাড়ু ও লাড্ডু।
আগে পূজার সময় তৈরি নাড়ু, সন্দেশ, ঢেঁকিছাঁটা চিড়া ও হাতে ভাজা মুড়ি বাড়ি বাড়ি পাঠানো হতো। সময়ের পরিক্রমায় এসব খাবার তৈরির ঐতিহ্য শহর বা গ্রাম সবখানে এখনও রয়ে গেছে।
রাজধানীর গুলশানবাসী পবিত্রা রানী মণ্ডল পেশায় গৃহিণী। প্রতিবছর দুর্গাপূজার আগে তার বাড়িতেও নানা রকম লাড্ডু ও নাড়ু বানানোর ধুম পড়ে।
পবিত্রা জানান, গ্রামের পূজার মতো শহুরে পূজার তেমন আড়ম্বর নেই। কিন্তু ঘটা করে প্রতিবার পূজাতে নাড়ু বানাই। নাড়ু তৈরিতে অামার মেয়েরাও আমাকে সাহায্য করে।
তিনি বলেন, এখন আর বাড়ি বাড়ি এসব মিষ্টি পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয় না। তবে আমার ছেলেমেয়েরা বন্ধুদের নাড়ু খাওয়ায়।
পূজাতে পবিত্রা বেশ কয়েক প্রকারের নাড়ু বানান। এগুলোর মধ্যে রয়েছে তিলের নাড়ু, নারকেলের নাড়ু, নারকেল আর চাল ভাজা বেঁটে তৈরি নাড়ু, নারকেল আর মুড়ি বাটা মিশিয়ে তৈরি নাড়ু, ভাজা চালের গুঁড়োর নাড়ু এবং পেস্তা বাদাম, কাজু অার চাল বাটার মিশ্রণে তৈরি নাড়ু। এছাড়াও রয়েছে গাজরের লাড্ডু।
পবিত্রা জানান, নাড়ু তৈরির পর সেগুলোকে কাজু, পেস্তা আর শুকনো খেজুর কুচি দিয়ে ড্রেসিং করা হয়।
পূজার উৎসব শুধু সনাতন ধর্মাবলম্বীদেরই নয়, এটি সার্বজনীন। বাংলার পূজাতেই মেলে বাঙালিয়ানার ছাপ। আর এ বাঙালিয়ানার অনেকটা জুড়েই রয়েছে হাতে তৈরি বাঙালি ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি খাবার। যার চাহিদা রয়েছে সব ধর্মের ও সব শ্রেণীর মানুষের মধ্যে।
বাংলাদেশ সময়: ০১২০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২০, ২০১৫
এসএমএন/এএ