লন্ডনে যারা থাকেন তারা জানেন কতোটা ব্যয়বহুল নগর এই লন্ডন। যারা স্বল্প আয়ের সাধারণ ছাপোষা মানুষ বা ছাত্রছাত্রী, লন্ডনে থাকতে গিয়ে তাদের রীতিমতো নাভিশ্বাস ওঠে।
লন্ডনের আকাশচুম্বী বাড়িভাড়া থেকে রেহাই পেতে ইংল্যান্ডের হ্যামশায়ারের বাসিন্দা এই ব্রিটিশ ছাত্র নিজের দেশ ছেড়ে পাড়ি জমিয়েছেন পূর্ব ইউরোপের দেশ পোল্যান্ডে। তবু ক্লাশ-লেকচার কোনোটাই মিস হয় না তার। কিন্তু কিভাবে? হ্যাঁ, সেটাই বেশ মজার। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাশ-লেকচার অ্যাটেন্ড করতে পোলান্ডের বন্দরশহর গদান্স্ক থেকে উড়োজাহাজে চেপে উড়ে আসেন লন্ডনে। ফিরেও যান ফিরতি ফ্লাইটে। পোলান্ডে থেকে উড়োজাহাজে লন্ডনে যাওয়া-আসা করাটা যে ঢের সাশ্রয়ী এটা তিনি প্রমাণ করে ছেড়েছেন।
২৩ বছর বয়সী এই ছাত্রকে লন্ডনে থাকার জন্য সপ্তাহে ২২০ পাউন্ড বাড়িভাড়া গুনতে হতো। অথচ গদান্ক্সের মেসবাড়িতে তাকে গুনতে হয় মাত্র ৩৫ পাউন্ড।
গদানক্সের মেসভাড়া, বাসভাড়া এবং গদানস্ক থেকে লন্ডনে যাওয়া-আসার উড়োজাহাজ ভাড়া—--সব মিলিয়ে বছরে তার খরচ হয় ২ হাজার ১০০ পাউন্ড। অথচ লন্ডনে থাকার সময় এই অর্থে কোনোমতেই চলা সম্ভব হয়নি তার। লন্ডনে থেকে আকাশছোঁয়া বাড়িভাড়া দিয়ে একজন ছাত্রের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশুনা চালিয়ে যাওয়া যে কতোটা কষ্টকর তা তার ভাষায়ই স্পষ্ট: ‘But the cost of living for students is crippling’.
’
‘দ্য মিরর’ পত্রিকাকে জোনাথন বলেছেন: ‘অবিশ্বাস্য হলেও সত্য যে লন্ডনের আশেপাশে থাকার যে ব্যয়ভার সে তুলনায় এক হাজার মাইল দূর থেকে উড়োজাহাজে আসা-যাওয়া করাটা অনেক সস্তা।
জোনাথনের মতে, পোল্যান্ডে থেকে লন্ডনে যাওয়া আসা করেও প্রতিবছর তার হাজার হাজার পাউন্ড বেঁচে যায়। তিনি প্রতি বুধবার উড়োহাজে চড়ে লন্ডনে এসে ক্লাশ করেন। পোল্যান্ডে ফিরে যান শুক্রবার। মাঝখানে দু’টো রাত বন্ধুবান্ধবদের মেসে সোফায় শুয়ে কাটিয়ে দেন। এভাবেই দিব্যি চলে যাচ্ছে তার।
বাংলাদেশ সময়: ০০৫৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২০, ২০১৫
জেএম