ঢাকা: ভোজনপ্রিয় বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ। আর এসব পূজা-পার্বণ কি আর রসনাবিলাস ছাড়া চলে? যুগ যুগ ধরে বাংলার পূজার ভোজে তৃপ্তি বয়ে আনছে চিরাচরিত বাঙালি খাবার।
বাতাসে পূজার আগমনী বার্তা পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বাঙালির রঁসুইঘরে শুরু হয় ব্যস্ততা। ঢেঁকিছাঁটা চিড়া, ঝোলা গুড় মেশানো মুড়ির মোয়া, খই নারকেলের নাড়ু আর নকশি পিঠা তৈরিতে মেতে ওঠেন বাঙালি সনাতন ধর্মাবলম্বী বধূরা।
শুরু হয় কাঁসা আর পিতলের বাসন-কোসনগুলো আরও ঝকঝকে করে তোলার প্রতিযোগিতা। পূজার পাতের শুরুতে পড়বে দুধ মেশানো অাটা-ময়দায় গড়া ফুলকো লুচি, লেবুর রস মেশানো ভাত, বেগুন আর মাছ ভাজা। সঙ্গে আরও রয়েছে আলুর দম, পটলের দোলমা, শুক্তো আর চাটনি। অষ্টমীর দিন খিঁচুড়ি রান্না হয়।
এছাড়াও আমিষের মধ্যে থাকে পাঁঠার মাংস আর মাছের পদ। বাঙালি বরবরই শেষপাতে ডাল খেতে ভালোবাসে। পূজার শেষ পাতে আড়ম্বর আনতে তাই বাড়া হয় ছোলার ডাল। পানীয় হিসেবে কখনও থাকে টক দইয়ের শরবত।
এবার আসা যাক মিষ্টি প্রসঙ্গে। খাবারের শেষে মিষ্টি না খেলে তৃপ্তি হয় না। তাই ছানার সন্দেশ, রসগোল্লা, মিষ্টিদই, ক্ষীর পরিবেশন করা হয়।
এছাড়াও প্রসিদ্ধ পূজার খাবারের মধ্যে রয়েছে হাতে তৈরি বিভিন্ন রকম নাড়ু, তালের বড়া, দুধপুলি পিঠা ও মিষ্টি। এছাড়াও থাকে পদ্মচিনি, চিনি সন্দেশ ও বাতাসা।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ২১, ২০১৫
এসএমএন/এএ