‘লঘু পাপে গুরু দণ্ড’ বলে একটা কথা চালু আছে বাংলায়। কথাটা মিথ্যে নয়।
ঘটনা খুলেই বলি। যুক্তরাষ্ট্রের অ্যালাবামার কিছু দরিদ্র লোক জরিমানার অর্থ পরিশোধ করতে না পারায় এক বিচারক রায় দিলেন জরিমানার বদলে তাদের রক্ত দিতে হবে। এটাই তাদের শাস্তি। রক্ত না দিলে তাদের জেলে পাঠানো হবে। বলা বাহুল্য, ওই সময় কোর্ট হাউজের বাইরে স্বেচ্ছা রক্তদানের একটা ক্যাম্পেইন চলছিল।
অগত্যা কী আর করা ! ‘হাকিম নড়ে তো হুকুম নড়ে না’। অসহায় বেচারারা জেলে যাওয়া ঠেকাতে বাধ্য হয়ে রক্ত দিলেন। বিচারকের এই অন্যায় বিচারের বিরুদ্ধে এখন সমালোচনার ঝড় বইছে। মিডিয়াও থেমে নেই। তারাও ফলাও করে এই অন্যায়কে তুলে ধরেছে। আর সাউদার্ন পোভার্টি ল সেন্টার নামের একটি সংগঠন ওই সার্কিট জজ মারভিন উইগিন্সের (Marvin Wiggins)-এর নামে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দায়ের করেছে। আর একটি পত্রিকা তাদের খবরের শিরোনাম করেছে: ‘Complaint: Alabama judge told defendants to give blood or go to jail.’
কোর্ট হাউসে করা বিচারক মারভিন উইগিন্সের মন্তব্যও তারা উদ্ধৃত করেছে: "বাপুরা, তোমাদের কাছে যদি অর্থ না থাকে আর তোমরা যদি জেলে যেতে না চাও তাহলে আজই (স্বেচ্ছায়) রক্তদানের বিষয়টা বিবেচনা করে দেখতে পারো। আর (রক্তদানের প্রমাণ হিসেবে) আমাকে রিসিপ্টটা এনে দেখাও। তা না হলে যাদের কাছে অর্থ নেই তাদের জন্য শেরিফের কাছে পর্যাপ্ত সংখ্যক হ্যান্ডকাফ রয়েছে!’
এই বিচারক এর আগেও এমন অনেক কাণ্ড করেছেন যার কারণে বিচার বিভাগ তাকে একাধিকবার ভর্ৎসনা করেছে। একবার তো তাকে টানা ৯০ দিন বিনা বেতনে কাজ করতে হয়েছে। কিন্তু স্বভাব বদলায়নি তার। কথায় বলে, ‘ইল্লত যায় না ধুলে’।
বাংলাদেশ সময়: ০০০৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ২২, ২০১৫
জেএম