ঢাকা: উচ্চতা অনেকেই ভয় পান। উঁচু পাহাড় বা শূন্যে ভাসা সেতু হলে তো কথাই নেই।
উচ্চতায় দাঁড়িয়ে যাদের মাথা ঘোরানোর বাতিক রয়েছে তারা ফ্রান্সের মিলাও ভায়াডাক্ট ব্রিজের নাম শুনেই ভড়কে যাবেন। এটি বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু ব্রিজ। মাটি থেকে এর উচ্চতা এক হাজার একশো ২৫ ফুট। অাবার পাকিস্তানের হুসাইনি ঝুলন্ত ব্রিজের সামনে দাঁড়িয়ে চোখ উল্টে দাঁত দিয়ে নখ কাটা ছাড়া কোনো উপায় থাকবে না। কারণ উঁচু এ ব্রিজের কাঠের পাটাতনের একটি থেকে আরেকটির দূরত্ব অনেক। কোনোভাবে পা পিছলে গেলেই পানিতে ঝপাৎ! এখানেই শেষ নয়, রহস্য আরও বাকি।
কথা না বাড়িয়ে স্বচক্ষেই দেখে নিন বিশ্বের ডেয়ার-ডেভিল সব উঁচু সেতুগুলো।
দেখতে হয়তো তালিকার সবচেয়ে নিরাপদ সেতু বলে মনে হচ্ছে। তবে ফ্রান্সের মিলাও ভায়াডাক্ট এত উঁচু যে তা মেঘেরও ওপর দিয়ে চলে গেছে। এটি আইফেল টাওয়ারের চেয়েও বেশি উঁচু।
মাদাগাস্কারের বেমারাহা ন্যাশন্যাল পার্কের কাঠের সেতু।
বলা যায়, প্রাকৃতিক ব্রিজের মতোই। অ্যারিজোনার সেদোর বাইরে রেড রক মাউন্টেন ওয়াইল্ডারনেস এরিয়ার সেতু এটি।
উত্তর-পশ্চিম ইতালির আল্পস পাদদেশের সরু তিব্বতী সেতু।
নিচে তাকাবেন না। তবেই শেষ! কলোরাডোর রয়েল জর্জ ঝুলন্ত সেতুটি আমেরিকার সবচেয়ে উঁচু ঝুলন্ত ব্রিজ। এর উচ্চতা এক হাজার ৫৩ ফুট।
মায়ানমারের তাওয়াংথামেন হ্রদের একমাইল জুড়ে রয়েছে ইউ-বেইন ব্রিজ। ব্রিজের দু’পাশে রয়েছে এক হাজার ৮৬টি পিলার। এই পিলারগুলোই দিচ্ছে বাড়তি নিরাপত্তা দিচ্ছে।
ভিয়েতনামের সাঁকো। একটিমাত্র বাঁশে তৈরি সাঁকোতে নিরাপত্তা দিচ্ছে আরও একটি বাঁশের তৈরি হাতল।
উত্তর আয়ারল্যান্ডের ক্যারিক-এ-রিড রোপ ব্রিজের নিরাপত্তা আগের চেয়ে বেড়েছে অনেক। তবুও ব্রিজের ওপর দাঁড়িয়ে যখন ঠাহর হয় নিচে পাথুরে ভূমি, তখন হৃৎপিণ্ডের গতি কতোটা বাড়ে তা নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন!
পেরুর কিসওয়াচাকা সেতু। মজার ব্যাপার হলো হাতে বোনা সেতুটি কোয়া নামক এক প্রকার স্থানীয় ঘাস দিয়ে তৈরি। স্থানীয় গ্রামবাসী প্রতিবছরই শ্রমসাধ্য এ ব্রিজটি তৈরি করেন।
ফ্রান্স, সুইজারল্যান্ড ও ইতালির সন্ধিতে অবস্থিত চ্যামেনিক্স বা চ্যামনিক্স-মন্ট-ব্ল্যাঙ্কের ডু মিডি শৃঙ্গে অবিস্থিত ব্রিজটির উচ্চতা নয় হাজার দুইশো ফুট।
তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট।
বাংলাদেশ সময়: ০৪২৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৩, ২০১৫
এসএমএন/এএ
** বিশ্বের উঁচু ভয়ঙ্কর সব সেতু! (পর্ব-১)