শেষ জৈষ্ঠের কাঠফাটা রোদে ধানমন্ডির সাতমসজিদ রোডের ১৫ নম্বর বাসস্ট্যান্ডে হাতে লাগেজ নিয়ে বাসের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে আছেন ভদ্রলোক। প্রতিদিনকার মত রাস্তায় যানবাহন আর লোক চলাচলের চাপ রয়েছে।
ওদিকে, কিছুদূর গিয়ে গাড়িটি থামলো। আশপাশের লোকজন ছুটে এসে ভদ্রলোককে ওঠালেন। তিনি ধীরস্থিরভাবে এগিয়ে গেলেন থেমে থাকা গাড়ির দিকে। ড্রাইভিং সিটে বসা লোকটির বেশভূষায় বলছে তিনি মালিক নন। পেছনের সিটে কেতাদূরস্ত ভঙ্গিতে বসে থাকা ব্যক্তিটিই গাড়ির মালিক। ভাবভঙ্গী তার গাড়ির ড্রাইভারের মতই বেপরোয়া।
এদিকে, ঘটনার শিকার ভদ্রলোক পেছনের দরজার পাশে গিয়ে গাড়ির জানালার কাঁচে মৃদু টোকা দিলেন। ভেতর থেকে বিরক্তিভরা মুখে জানালার কাঁচ নামিয়ে ভ্রূ কুঁচকে তাকালেন সাহেব। বাইরে থেকে লোকটি সঙ্গে সঙ্গে কঠিন এক চড় (চটকানা) বসিয়ে দিলেন তার গালে। বিনা মেঘে বজ্রপাতের মত আচমকা ঘটে যাওয়া বিষয়টা গাড়িওয়ালা হজম করার আগেই বাইরে দাঁড়ানো ব্যক্তি নির্লিপ্ত ভঙ্গিতে বললেন- ‘ড্রাইভারকে ভদ্রতা শেখাবেন!’
কথা শেষ করে এক মুহূর্তও দাঁড়ালেন না তিনি। হেঁটে এগিয়ে চললেন তার পড়ে থাকা ব্যাগের দিকে।
যারা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ঘটনা দেখছিলেন এবং তাদের মধ্যে কেউ কেউ এগিয়েও এসেছিলেন বিচার-সালিশ আর ফয়সালা করতে-- সবাই যার যার জায়গায় জমে গেলেন, বিষয়টির এত দ্রুত সমাধান দেখে।
এক পর্যায়ে সবাই হেসে উঠলেন মুখ টিপে- একসঙ্গে!
জিকরুল আহসান শাওন, বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৫ ঘণ্টা, ১৪ জুন, ২০১১