ঢাকা: রাস্তার পাশের ক্লোজেডটি আকারে ছোট। কিন্তু তা ভাবনায় বিরাট পরিবর্তন আনতে পারে।
জেসিকা ম্যাকক্লারড (৪১) শহরের ছোট্ট ফ্রি লাইব্রেরিগুলো দেখে এ ফুড প্যান্ট্রি তৈরিতে অনুপ্রাণিত হন। একদিন জগিং করার সময় রাস্তার পাশের ছোট ক্লোজেডের একটি ফ্রি লাইব্রেরির সামনে থামেন জেসিকা। বইগুলো নেড়েচেড়ে দেখেন।
এই লাইব্রেরিগুলোতে যে বই থাকে তা প্রয়োজন অনুসারে নিয়ে যায়। পড়া শেষে আবার রেখে যায়। আইডিয়াটি তাৎক্ষণিকভাবে মনে ধরে জেসিকার।
জেসিকা হাফিংটন পোস্টকে জানান, ছোট্ট কাঠামোটি আমাদের প্রতিবেশীপরায়ণ হতে ও সামাজিক সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্র তৈরি করে দিতে পারে। জেসিকা জ্ঞানস্তর বাদ দিয়ে সমাজের অন্যান্য সমস্যার দিকে দৃষ্টিপাত করেন।
তিনি পথের ধারে এমন ক্লোজেড বানানোর উদ্যোগ নেন যেখানে খাবার, ফেমিনিন হাইজিন ও নবজাতকের প্রয়োজনীয় উপকরণ থাকবে। জেসিকা এ সেবা ব্যবস্থাপনার জন্য অলাভজনক প্রতিষ্ঠান থ্রিভেন্ট ফিন্যান্সিয়াল থেকে ২৫০ ডলারের একটি ক্ষুদ্র অনুদান পান। এ টাকা দিয়ে তিনি ছোট্ট একটি বাক্স তৈরি করেন। চলতি বছরের ১০ মে বাক্সটি ফায়েটভিলের গুড শেফার্ড লুথেরান গির্জার সামনে রাখা হয়।
কাপবোর্ডের তাকে রাখা হয়েছে স্থিতিশীল খাদ্যসামগ্রী যেমন- পিনাট বাটার ও জেলি, টয়লেট্রিজ ও কাগজের পণ্য। জেসিকা জানান, এখানে পাউরুটি ও বাগান থেকে সবজি নিয়েও রাখা হচ্ছে।
২.
যেহেতু বাক্সটি একটি এলিমেন্টারি স্কুলেরও কাছাকাছি, তাই এখানে বাচ্চাদের কিছু সামগ্রী রাখা হচ্ছে। গ্রীষ্মকালীন ছুটি শুরুর আগেরদিন বাক্সের উপরে একগুচ্ছ বেলুন বেঁধে দেওয়া হয়। বাক্সের ভেতরে রাখা হয়েছিলো বাবল, জাম্পিং রোপ ও ক্যান্ডি নেকলেস।
দক্ষিণ ফায়েটভিলের ক্রাইস্ট’স চার্চ লিটল ফ্রি প্যান্ট্রি ও ওকলাহোমার আর্ডমোরের দ্য ব্লেসিং বক্সের মতো জেসিকা অন্যদেরও এমন প্যান্ট্রি বা ক্লোজেট তৈরিতে উদ্বুদ্ধ করছেন। এজন্য ফেসবুকে একটি পেজও খুলেছেন তিনি। পেজটি অনুসরণ করছে নয় হাজার ফলোয়ার।
তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট।
বাংলাদেশ সময়: ০২০৮ ঘণ্টা, আগস্ট ০২, ২০১৬
এসএমএন/এএ