ঢাকা: প্রতি ছয় বছর পরপর আমাদের কক্ষপথ ঘুরে যায় একটি বিরাট গ্রহাণু। বিজ্ঞানীদের আশঙ্কা সাম্প্রতিক সময়ে বেঁচে গেলেও ভবিষ্যতে গ্রহাণুটি পৃথিবীর ভয়াবহ ক্ষতি করবে।
বেন্যু নামের গ্রহাণুটি প্রতি ছয় বছরে একবার পৃথিবীর কক্ষপথে উপস্থিত হয়। প্রায় পাঁচশো মিটার (প্রায় এক হাজার সাতশো ফুট) ব্যাসের বেন্যু সূর্যের চারদিকে ঘণ্টায় ৬৩ হাজার পার মাইল বেগে অতিক্রম করছে।
বিজ্ঞানীরা জানান, ২১৩৫ সালের দিকে বেন্যু পৃথিবী ও চাঁদের মধ্যবর্তী স্থানে চলে আসবে।
এক শতাব্দী পর, গ্রাহাণুটি আমাদের গ্রহের কাছাকাছি চলে এলে পৃথিবীর মধ্যাকর্ষণ শক্তি তাকে টেনে ধরার সময় সৃষ্ট আঘাতে পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যেতে পারে। জানান অ্যারিজোনা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্ল্যানেটারি সায়েন্সের অধ্যাপক ডান্টে লরেটা।
কিন্তু ঠিক কবে নাগাদ পাথর পিণ্ড পৃথবীকে আঘাত করতে পারে তা বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত বলতে পারছেন না। কিন্তু লরেটা সম্ভাব্য সময় হিসেবে বলেছেন, ২১৭৫ থেকে ২১৯৬ সালের মধ্যে ২৭০০ বার অতিক্রমে একবার এমন আশঙ্কা রয়েছে।
বেন্যু নিয়ে নাসা এতটাই উদ্বিগ্ন যে, তারা গ্রহাণু পর্যবেক্ষণে একটি প্রোব পাঠাচ্ছে। ওসরিস-রেক্স স্পেসক্রাফটটি আগামী ৮ সেপ্টেম্বরে পৃথিবী থেকে রওয়ানা হবে। এটি ২০১৮ সালে তা বেন্যু গ্রহাণুপৃষ্ঠে অবতরণ করবে বলে জানা যায়। বেন্যু পরিমণ্ডল থেকে পাথরের নমুনা, রাসায়নিক গঠন, ধাতুবিদ্যা এবং ভূতত্ত্ব ইতিহাস সংগ্রহ করে ২০২৩ সালে পৃথিবীতে ফিরে আসবে প্রোবটি।
লরেটা জানান, গ্রহাণুর আকার, ভর ও গঠন বিষয়ক তথ্য ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হবে।
ওসরিস-রেক্স থেকে প্রাপ্ত নমুনা থেকে আমাদের সৌরজগতের উৎপত্তি, বেন্যুর ভবিষ্যত গতিবিধি ও কী করে এটিকে পৃথিবী থেকে দূরে সরানো যায় যে বিষয়ে বিজ্ঞানীদের উপযুক্ত ধারণা দেবে বলে আশাবাদী নাসা।
তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট।
বাংলাদেশ সময়: ০১৪৫ ঘণ্টা, আগস্ট ০৩, ২০১৬
এসএমএন/এএ