ঢাকা: শূন্য প্রান্তরে স্থবির হয়ে দাঁড়িয়ে অকেজো ইউএফও। শুষ্ক খরখরে প্রান্তরে মরিচা জমা অনুসন্ধানী যান যেনো দেহে এলিয়েন যুদ্ধে ক্ষত বয়ে বেড়াচ্ছে।
গত মাসে একটি আন্তর্জাতিক ট্যুর গাইড ওয়েবসাইট জমা দিয়েছে টেক্সাসের রয়্যেস সিটিতে অবস্থিত এ ইউএফও’র ছবি। বাস্তবে কোনো এলিয়েন যুদ্ধে আকাশে ওড়েনি এ ইউএফও। এটি অতীতের একটি বাড়ি।
মজার বিষয় আলোচিত ছবিটি দেখে সাড়া দিয়েছেন বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ। তারা নিজেরাও বসবাস করছেন এমনই ইউএফও আকৃতির বাড়িতে!
ইউএফও শেপ দ্য ফিউচারো হাউজের ডিজাইনার স্থপতি ম্যাট্টি স্যুরোনেন। ১৯৬০ সালের শেষাংশে নকশা করা ফিউচারো হাউজের কাঁচামাল প্লাস্টিকের মতো। বিচিত্র পরিবেশে স্থানান্তরযোগ্য পোর্টেবল বাড়ির তলায় দুটো স্ট্যান্ড রয়েছে। ডিম্বাকার শেপের বাড়িতে রয়েছে একটি করে বেডরুম, বাথরুম, ফায়ারপ্লেস ও লিভিংরুম। ফিউচারো করপোরেশনের মাধ্যমে স্যুরোনেন এমন হালকা ওজনের বাড়ি আরও নির্মাণ করছেন, যা বিশ্বের যেকোনো স্থানে স্থানান্তর করা যাবে।
১৯৬০-১৯৭০ সালে নভচারীযুগ প্রভাবিত নকশায় প্রায় একশোটির মতো ইউএফও বাড়ি বানানো হয়। এর মধ্যে ৬০টি বাড়ি টিকে রয়েছে। একটি রয়েছে ফ্লোরিডার টাম্পাতে। অস্ট্রেলিয়ার ইউনিভার্সিটি অব ক্যানবেরা উদ্ধার করে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছে একটি এবং নর্থ ক্যারোলিনা, নিউজিল্যান্ডের ওয়ারিংটন ও জার্মানির বার্লিনে রয়েছে ফিউচারো হাউজ।
TheFuturoHouse.com ওয়েবসাইটে পরিষ্কার ম্যাপ দেওয়া রয়েছে নিউজিল্যান্ড থেকে গ্রিস পর্যন্ত বিশ্বের কোথায় কোথায় স্যুরোনেনের ইউএফও হাউজ অবস্থিত।
ম্যাট্টি স্যুরোনেন একমাত্র স্থপতি নন, যিনি ইউএফও স্টাইল ঘরে থাকার প্রচেষ্টা চালিয়েছেন। তাইওয়ানে রয়েছে সানজিহ ইউএফও হাউস। তা তৈরি হয় ১৯৭৮ সালে। দুর্ভাগ্যবশত তা ধ্বংস হয়ে গেছে।
যেখানে আমাদের বসতবাড়ি নির্মাণ করতে হয় ভূসংস্থান বুঝে। সেখানে ইউএফও পোর্টেবল হাউজ সংস্থপন করা সম্ভব মরভূমি, অ্যান্টার্কটিকা, সাগরপাড় বা যেকোনো পরিবেশে।
এবছরেই কৌতূহলীরা কাছ থেকে দেখতে পাবেন শিহরণ জাগানো ইউএফও লিভিং স্পেস। চলতি বছরের ১৪ ডিসেম্বরের মধ্যেই লন্ডনের ম্যাট’স গ্যালিতে পুনঃসংস্থাপন হতে যাচ্ছে ১৯৭২ সালের একটি ফিউচারো হাউজ।
তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট।
বাংলাদেশ সময়: ০০৪৬ ঘণ্টা, আগস্ট ১২, ২০১৬
এসএমএন/এএ