ফেনী: জেলা শহরের হাজারো মানুষের প্রাণ খুলে নিঃশ্বাস নেওয়ার একমাত্র স্থান হয়ে উঠেছে রাজাঝির দিঘী। ফলে প্রতি সন্ধ্যাতেই জমজমাট হয়ে ওঠে ফেনী শহরের মধ্যখানে অবস্থিতি এ দিঘীর চারপাশ।
এ সময় লাল-নীল বাতি আর হালকা অন্ধকারের মিশেলে এক অপরুপ সৌন্দর্যের চিত্র ফুটে উঠে এ দিঘীর পাড়ে।
খোলা আকাশের নিচে রাজাঝির দিঘীর পাড়ে সন্ধ্যা নিয়ে আসে হাজারো মানুষের কোলাহল। জমে সব বয়সী ও শ্রেণি-পেশার মানুষের আড্ডা। চলে গভীর রাত পর্যন্ত।
এ আড্ডাতে দেখা মেলে দূর-দূরান্ত থেকে বেড়াতে আসা মানুষেরও। নগরীতে খেটে খাওয়া মানুষগুলোও ক্লান্তি দূর করতে আসেন এ দিঘীর পাড়ে।
সন্ধ্যা থেকে রাত অবধি এখানে আড্ডার সঙ্গে চলে নানা মৌসুমী ফল, চা, বিস্কুট, ছোলা, পেয়াজু খাওয়ার ধুম।
মাকসুদ নামে এক যুবক শহরতলীর ফতেহপুর থেকে এসে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা জমান প্রতিদিন। তিনি বলেন, এমন সুন্দর মনোরম পরিবেশ, এখানে আসা আমাদের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। কাজের জন্য কখনো শহর থেকে দূরে গেলেও মনটা পড়ে থাকে দিঘীর পাড়েই।
আক্কাস নামে এক দিনমজুর বলেন, সারাদিন কাজ শেষে একটু মুক্ত বাতাস আর দিঘীর পাড়ের সুন্দর পরিবেশ উপভোগ করতে এখানে প্রতিদিন আসি।
স্থানীয়দের মতে, আনুমানিক ৫শ বছর আগে দিঘীটি খনন করেন তৎকালীন ত্রিপুরার রাজা মানিক চন্দ্র। তার মেয়ের অন্ধত্ব দূর করার জন্য এ দিঘীটি খনন করেন তিনি।
সে কারণেই দিঘীটির নাম রাজাঝির দিঘী। সাড়ে ১০ একর জমির ওপর এ দিঘী। একসময় দিঘীর পাড়কে ক্রেন্দ্র করে মহকুমা শহর গড়ে উঠে, যা এখন জেলা শহরে পরিণত হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০২ ঘণ্টা, আগস্ট ১২, ২০১৬
এসআর