ঢাকা, রবিবার, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ১৮ মে ২০২৫, ২০ জিলকদ ১৪৪৬

ফিচার

লাল চুলোদের শুক্রাণুর বাজার নেই!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮:০৭, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০১১
লাল চুলোদের শুক্রাণুর বাজার নেই!

কোপেনহেগেন: লাল চুলওয়ালা পুরুষের শুক্রাণুর চাহিদা কম থাকায় বিশ্বের সবচেয়ে বড় শুক্রাণু (স্পার্ম) ব্যাংক এই বৈশিষ্ট্যের লোকদের কাছ থেকে শুক্রাণু সংগ্রহ কমিয়ে দিয়েছে।

শুক্রাণু ব্যাংক ক্রায়োস-এর পরিচালক ওলে সুচাউ জানান, শুকাণু দাতাদের সুযোগ সুবিধা অনেক বেশি পরিমাণে বাড়ানোর ফলে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে শুকাণু দাতার সংখ্যা অত্যধিক বেড়ে গেছে।



ডেনমার্কের দৈনিক এক্সট্রাব্লাডেটকে তিনি বলেন, ‘লাল চুলওয়ালা পুরুষরা যে পরিমাণ শুক্রাণু দেন, সেই তুলনায় এই শুক্রাণুর চাহিদা কম। ’

তিনি আরও বলেন, ‘কারো সঙ্গী লাল চুলওয়ালা না হলে সে সাধারণত লাল চুলওয়ালা লোকের শুকাণু নিতে চায় না। আলাদা থাকেন এরকম নারীরা কখনও কখনও লাল চুলওয়ালা পুরুষদের পছন্দ করেন তবে সেই সংখ্যা খুবই নগণ্য। ’
 
তবে আয়ারল্যান্ডে লাল চুলওয়ালা লোকদের শুক্রাণুর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। সেখানে এটা ‘হট কেকের’ মতো চলে।

ক্রায়োসের সংগ্রহে এখন ৭০ লিটার বীর্য আছে এবং আরও ৬০০ দাতা অপেক্ষমান তালিকায় রয়েছেন বলে জানান ক্রায়োসের পরিচালক।

বাদামি চুল ও বাদামি চোখের লোকদের বীর্যের চাহিদা সবসময়ই বেশি। এর কারণ ব্যাখা করে সুচাউ বলেন, ‘এই ব্যাংকের গ্রাহকরা মূলত ইতালি, স্পেন এবং গ্রিসের নাগরিক। এসব দেশের মানুষের বৈশিষ্ট্যও ওই রকম। ’

অপরদিকে ভারতীয় পুরুষের বীর্য পাওয়া খুবই কঠিন। কারণ, ভারতে ডিম্বাণু ও শুক্রাণু দুটোই রপ্তানি করা নিষিদ্ধ। এ কারণে সন্তানহীন প্রবাসী ভারতীয় দম্পতিদের বড় সমস্যা হয়।

ক্রায়োস স্পার্ম ব্যাংক একজন শুকাণু দাতাকে ৫০০ ডলারেরও বেশি অর্থ দিয়ে থাকে। আর এই সংরক্ষিত বীর্য এরা ৬৫টি দেশে পাঠায়।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৮ ঘণ্টা,  সেপ্টেম্বর ১৭,২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।