ঢাকা, রবিবার, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ১৮ মে ২০২৫, ২০ জিলকদ ১৪৪৬

ফিচার

স্বপ্ন যখন ফার্মাসিস্ট

একেএম ফয়জুল ইসলাম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪:০২, সেপ্টেম্বর ২১, ২০১১
স্বপ্ন যখন ফার্মাসিস্ট

বর্তমানে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রপ্তানিযোগ্য পণ্য হচ্ছে ওষুধ। দেশের ওষুধ শিল্পের মান নিয়ন্ত্রণ ও বিপণন, প্রস্তুত প্রক্রিয়া সহ অন্যান্য কাজ পরিচালনার জন্য দক্ষ ফার্মাসিস্ট গড়ে তোলা প্রয়োজন।

সে লক্ষ্যে ২০০৪ সালে যাত্রা শুরু হয় স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ (এসইউবি)-এর ফার্মেসি বিভাগের পথচলা।

তারপর থেকে এগিয়ে চলছে এসইউবি’র ফার্মেসি বিভাগ; যা সম্পূর্ণরূপে বাংলাদেশ ফার্মেসি কাউন্সিলের অনুমোদন প্রাপ্ত। এখানে সর্বাধুনিক গবেষণাযন্ত্রসহ গবেষণার সব সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। সেই সাথে রয়েছে স্বয়ংসম্পূর্ণ গবেষণাগার।

এসইউবি’র ফার্মেসি বিভাগে বর্তমানে প্রায় ৮০০ জন শিক্ষার্থী ফার্মেসি বিষয়ে বি.ফার্ম (অনার্স) ও এম.ফার্ম (মাস্টার্স) কোর্সে শিক্ষা গ্রহণ করছে। শুরু থেকেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি অনুষদের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ড. মোঃ আব্দুর রশীদের সার্বিক পরিচালনা ও পরামর্শে এ বিভাগটি এগিয়ে চলছে।

বর্তমানে এসইউবি’র ফার্মেসি বিভাগের প্রধানের দায়িত্বে রয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মাসিটিক্যাল কেমিস্ট্রি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. রেবেকা বানু। তাঁর সুনির্দিষ্ট দিক নির্দেশনা ও পরিচালনায় বর্তমানে এসইউবি’র ফার্মেসি বিভাগে রয়েছে সর্বমোট ১৬ জন নিজস্ব শিক্ষক-শিক্ষিকা।

এসইউবি’র ফার্মেসি বিভাগ সম্পর্কে বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. রেবেকা বানু বলেন, ‘স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ-এ ২০০৪ সালে ফার্মেসি বিভাগের যাত্রা শুরু হয় এবং এই ২০১১ সালের ডিসেম্বরে ১২তম ব্যাচের গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন হবে। এখান থেকে শিক্ষা গ্রহণ শেষে ছেলে-মেয়েরা দেশের ওষুধ কোম্পানীগুলোতে সফলতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। ’

বাংলাদেশ ফার্মেসি কাউন্সিলের নির্দেশনা অনুযায়ী এসইউবি’র ফার্মেসি বিভাগে প্রতি বছর দুটি সেমিস্টার পরিচালিত হয়। ২০১১ সালের স্প্রিং সেমিস্টার পর্যন্ত (জানুয়ারী-জুন) সর্বমোট ১১টি ব্যাচ তাদের বি.ফার্ম (অনার্স) সম্পন্ন করেছে।

চার বছর মেয়াদী বি. ফার্ম (অনার্স) কোর্সের মধ্যে শেষ সেমিস্টারে বাধ্যতামূলকভাবে ‘ইন-প্লান্ট ট্রেনিং’ কোর্সটি করতে হবে। যার ফলে দেশের স্বনামধন্য ফার্মাসিটিক্যাল প্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষার্থীরা তাদের শিক্ষার প্রয়োগ করতে পারবে। রয়েছে প্রতি সেমিস্টারে ভালো ফলাফলের ভিত্তিতে প্রত্যেক ব্যাচ থেকে প্রথম তিন জনের জন্য স্কলারশিপ সুবিধা। এ ছাড়াও গরীব, মেধাবী শিক্ষার্থীদেরও এসইউবি বৃত্তি প্রদান করে থাকে।

দেশী ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানগুলোতে বর্তমানে ‘ফার্মাসিস্ট’  একটি আকর্ষণীয় পেশা। এ পেশায় রয়েছে একই সাথে মানুষের জীবন বাঁচানোর ওষুধ প্রস্তুতের মাধ্যমে জনসেবার সুযোগ ও পাশাপাশি ভালো বেতনের মাধ্যমে আর্থিক স্বচ্ছলতার সুযোগ। এমনকি ফার্মাসিটিক্যাল প্রতিষ্ঠানগুলোতে চাকরী ছাড়াও রয়েছে হাসপাতাল ফার্মাসিস্ট, কমিউনিটি ফার্মাসিস্টসহ বিভিন্ন পেশায় নিজেকে সম্পৃক্ত করার সুযোগ।

যেসকল শিক্ষার্থীরা নিজেদের ফার্মাসিস্ট হিসেবে দেখার স্বপ্ন দেখে। তাদের স্টেট ইউনিভার্সিটি হতে পারে স্বপ্ন খুলে দেওয়ার দ্বার।

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।