মহাত্মা গান্ধী বিশ্ব মানবতার কাছে এক অবিস্মরণীয় নাম। অহিংস আন্দোলনের প্রবর্তক ও ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের অবিসংবাদিত নেতা মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধীর ১৪২তম জন্মদিন ২ অক্টোবর।
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাকে মহাত্মা বলে অভিহিত করেন। আর তিনি ভারতবাসীর প্রিয় ‘বাপুজি’।
গান্ধীর জন্ম ১৮৬৯ সালে গুজরাটের পোরবান্দরে। ১৮৮৮ সালে আইন বিষয়ে উচ্চশিক্ষার জন্য তিনি লন্ডনের ইউনিভার্সিটি কলেজে ভর্তি হন। ১৮৯৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় আইনব্যবসা শুরু করেন। সেখানে ব্রিটিশ বর্ণবাদী শাসনের প্রতিবাদের মধ্য দিয়ে রাজনীতিতে নামেন। ১৯১৪ সালে দেশে ফিরে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে যুক্ত হন। ১৯২১ সালে তিনি ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের নেতৃত্বে চলে আসেন, সূচনা করেন অসহযোগ আন্দোলনের।
১৯৩০ সালে গান্ধী প্রথম তাঁর অহিংস শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মতাদর্শ প্রয়োগ করেন। লবণ করের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে হাঁটেন ৪০০ কিলোমিটার পথ, যা ছিল ইংরেজ শাসকদের প্রতি সরাসরি ‘ভারত ছাড়’ আন্দোলনের সূত্রপাত। পরের দিনগুলোতে তিনি ছিলেন উপমহাদেশের রাজনীতির অন্যতম নিয়ন্তা।
ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের কারণে বেশ কবার দক্ষিণ আফ্রিকা ও ভারতে কারাবরণ করেন মহাত্মা গান্ধী। তবে সব পরিস্থিতিতেই অহিংস মতবাদ ও সত্যের ব্যাপারে ছিলেন অটল। সাধারণ জীবনযাপন করা এই রাজনীতিবিদ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ আশ্রম।
ভারতের স্বাধীনতার পর রাজনীতি থেকে অবসর নেন তিনি। ওই অবস্থায় ১৯৪৮ সালের ৩০ জানুয়ারি নাথুরাম গডসে নামে এক ব্যক্তি তাকে গুলি করে হত্যা করেন।
২০০৭ সালের ১৫ জুন ব্রিটিশদের ভারতবর্ষ থেকে বিতারিত করতে অহিংস আন্দোলনের প্রবক্তা মহাত্মা গান্ধীর জন্মদিনটি ‘আন্তর্জাতিক অহিংস দিবস’ হিসেবে পালন করার সিদ্ধান্ত নেয় জাতিসংঘ।
বাংলাদেশ সময় ২০৪৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ০২, ২০১১