সনাতন শাস্ত্রমতে এই মড়ক সংক্রান্তি রোববার (১৪ জানুয়ারি)। কৃষকের ক্ষেতের ধান ইতোমধ্যে ঘরে তোলা হয়ে গেছে।
শনিবার (১৩ জানুয়ারি) শ্রীমঙ্গল উপজেলার উত্তর ভাড়াউড়া গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিটি কৃষকের বাড়িতে পিঠা তৈরির ধুম। সাধ্যমত যার যার চুলার পাশে বসে নানা উপকরণ দিয়ে তৈরি করছেন সুস্বাদু সব পিঠা।
মাটির আলপথ ধরে এগিয়ে যেতে যেতে পূর্বদিকের শেষ সীমানায় ছোট্ট একটি ঘর। জীর্ণতার ছাপ লেগে আছে বাড়ির চারপাশ ঘিরে। পিঠা তৈরি করার দৃশ্যটি দেখার আগ্রহ প্রকাশ করা মাত্রই বাড়ির গৃহকর্তা গভীর আন্তরিকতা সঙ্গে নিয়ে গেলেন রান্নাঘর অবধি।
এ বাড়ির গৃহকর্তার নাম অমরেন্দ্র দেব। তিনি এই এলাকার একজন কৃষক। নিজের জমির পাশাপাশি অন্যের জমিতেও চাষ করেন। বাড়িতে গিয়ে দেখা গেল, অমরেন্দ্রের স্ত্রী রিনা দেব তার মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে নানা প্রকারের পিঠা তৈরিতে ব্যস্ত। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, বিন্নি ধানের পিঠা, মালপোয়া, পাটিসাপটা, বকফুল, পুলিপিঠা তৈরি করেছি। আরও কিছু তৈরি করবো।
অমরেন্দ্র বলেন, পিঠাগুলো বিরুন চাল, চিনিসাগর চাল, সাইল বত্রিশ দিয়ে তৈরি।
আক্ষেপ প্রকাশ করে রিনা দেব বলেন, মা অনেক আগ্রহ সহকারে এগুলো শিখিয়েছিলেন বলে আমি আজ পিঠা তৈরি করতে পারছি। কিন্তু নতুন প্রজন্মের মেয়েদের এ বিষয়ে আগ্রহ তেমন একটা নেই। তারা আমাদের মতো রান্নাবান্না বা পিঠা তৈরি শিখতে চায় না।
এলাকার অপর কৃষক বাদল পাল বাংলানিউজকে বলেন, প্রতি বছর পৌষ সংক্রান্তি ঘিরে আমাদের এলাকার ঘরে ঘরে পিঠা তৈরি করা হয়। ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা অস্থায়ীভাবে শন-বাঁশের ঘর তৈরি করে উৎসবকে মুখর করে তোলে।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০১৮
বিবিবি/আরআর