ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফিচার

রেপটো’র অনলাইন কোর্সে কর্মমুখী শিক্ষা

ফিচার রিপোর্টার | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৩১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০১৮
রেপটো’র অনলাইন কোর্সে কর্মমুখী শিক্ষা একঝাক তরুণ উদ্যোক্তা গড়ে তুলেছে রেপটো। ছবি: রাজীন চৌধুরী

ঢাকা: বর্তমান সময়ের প্রতিযোগিতামূলক চাকরির বাজারে কর্মমুখী শিক্ষার বিকল্প নেই। অনলাইনে তরুণদের কর্মমুখী শিক্ষা প্রদান ও তাদের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধির জন্য তাই কাজ করছে রেপটো এডুকেশন সেন্টার।

মূলত শিক্ষাজীবন শেষ করে চাকরি জীবনে প্রবেশের দ্বারপ্রান্তে থাকা তরুণদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য কাজ করছে রেপটো। অনলাইনভিত্তিক নানারকম কোর্স পৌঁছে দিচ্ছে তরুণদের কাছে।

বর্তমান বিশ্বে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিভিন্ন ই-এডুকেশন প্লাটফর্ম আছে। সেগুলো ব্যবহার করা বেশ জটিল ও ব্যয়বহুল। তবে আমাদের দেশে এ ধরনের কার্যক্রম অনেক কম। পাশাপাশি ইংরেজিতে দুর্বলতার জন্য অনেকেই এগুলো ব্যবহার করতে পারেন না। এসবের বিকল্প হিসেবেই কাজ করছে রেপটো।

ডিজিটাল মার্কেটিং, প্রোগ্রামিং, গ্রাফিক্স ডিজাইনিং, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, ফ্রিল্যান্সিং ফটোগ্রাফি, সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি, ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ, মাইক্রোসফট অফিসসহ বর্তমানে ১৫০টিরও বেশি কোর্স রেপটো পরিচালনা করছে দেশের যুব সমাজের উন্নয়নে।

বাংলানিউজের কথা হয় রেপটোর প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী ইশতিয়াক সিয়ামের সঙ্গে। তিনি বলেন, রেপটোর উদ্দেশ্য হলো বাংলাদেশের বেকারত্বের হার কমিয়ে আনা। এর সঙ্গে জড়িতরা বিশ্বাস করেন, তরুণরা বিভিন্ন রকমের কোর্স থেকে যা শিখবেন, তা তাদের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি করবে, আর তা থেকে সহজেই তৈরি হবে আত্মকর্মসংস্থান।

সে কথাতেই যেন কণ্ঠ মেলালেন রেপটোর শিক্ষার্থী রিজভি রায়হান। তিনি বলেন, গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করার পর চাকরির জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সিভি ড্রপ করতে থাকি। তবে কোথাও চাকরি হচ্ছে না দেখে খুব হতাশায় ছিলাম। আমার এক বন্ধুর মাধ্যমে রেপটোর কথা জানলাম, এরপর রেপটোতে বিভিন্ন কোর্স করে এখন আমি ফ্রিলান্সিং করি।

আরেক শিক্ষার্থী হৃদয় হাসান বলেন, আমি একজন স্থাপত্যশিল্পী, আমাদের প্রফেশনাল কাজে মাঝে মাঝে ভিডিও এনিমেশনের দরকার হয়। দেশের বাইরে গিয়ে এনিমেশনের ট্রেইনিং করা হয়ে ওঠে না। আমি আমার অফিসে বসে রেপটোতে এনিমেশনের কোর্স কমপ্লিট করেছি। এটা ঘরে বসে বিশ্বমানের শিক্ষার মতো।

রেপটোতে বর্তমানে প্রায় ৩৬ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী বিভিন্ন কোর্সে তাদের নিয়মিত শিক্ষাক্রম পরিচালনা করছেন। এর সবগুলোই প্রায় ঘরে বসে। অনলাইনে কোনো কোর্স করা অনেক বেশি সহজ ও কার্যকর বিধায় স্বল্পখরচে এসব কোর্সের প্রতি আগ্রহী হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।

বর্তমানে রেপটোর সঙ্গে কাজ করছেন নাহিদ ইসলাম, সাইদুল ইসলাম, শাহাদত হোসেন, মোস্তাফিজুর রহমান, আহসান মাহমুদ, মো. শাহাদত, ফারহানা কলি ও আরমান আহমেদ। তারা সবাই নিজ নিজ বিষয়ে পারদর্শী।

অনলাইনভিত্তিক কোর্সের এই প্লাটফর্মটি ইতোমধ্যে জিতে নিয়েছে বেশকিছু পুরস্কারও। এরমধ্যে রয়েছে সুইস অ্যাম্বাসি ২০১৭ পুরস্কার, ব্র্যাক মন্থন অ্যাওয়ার্ড ইত্যাদি। পাশাপাশি প্লাটফর্মটি প্রশংসিত হয়েছে বিভিন্ন মহলে।

শিক্ষার্থীদের চাহিদা পূরণে প্রতিনিয়তই নিত্যনতুন সব কন্টেন্ট হাজির করছে রেপটো। যে কোন শিক্ষার্থী চাইলেই নিবন্ধনের মাধ্যমে এখান থেকে করে নিতে পারে তাদের প্রয়োজনীয় কোর্স। এজন্য লগিন করতে হবে রেপটোর ওয়েবসাইট: www.repto.co ঠিকানায়।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০১৮
এইচএমএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।