ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফিচার

বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দেখা ব্লু-মুন চন্দ্রগ্রহণ

ফিচার ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৫১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১, ২০১৮
বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দেখা ব্লু-মুন চন্দ্রগ্রহণ ৩১ জানুয়ারির চন্দ্রগ্রহণ। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: দেড় শতক পর বিশ্ববাসী সাক্ষী হলো এক বিরল মহাজাগতিক মুহূর্তের। ৩১ জানুয়ারি একইসঙ্গে ঘটে গেলো পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ, ব্লু-মুন এবং সুপার মুন। 

বাংলাদেশ সময় বিকেল ৫টা ৩৭ মিনিটে চাঁদ দিগন্তে দেখা যাওয়ার পর থেকেই শুরু হয় চন্দ্রগ্রহণ। তা শেষ হয় রাত ১০টা ৮ মিনিটে।

এটি জানুয়ারি মাসের দ্বিতীয় পূর্ণিমার চাঁদ, তাই এ চাঁদকে বলা হচ্ছে ‘ব্লু-মুন’। তাছাড়া এ দিন চাঁদ স্বাভাবিকের তুলনায় ১৪ গুণ বেশি আলো ছড়ায় বলে এর নাম সুপার মুন।

বিশ্বের প্রায় সব অঞ্চল থেকে সুপার মুন ও ব্লু-মুন দেখা গেলেও চন্দ্রগ্রহণ দেখেন উত্তর আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, প্রশান্ত মহাসাগর, এশিয়া ও মধ্য প্রাচ্যের মানুষেরা। ১৫২ বছর পাওয়া এ বিরল মুহূর্তটাকে ফ্রেমবন্দির চেষ্টা করেন অনেকেই।  

নিউ ইয়র্ক থেকে চন্দ্রগ্রহণের দৃশ্যলালচে চাঁদ ডুবে যাচ্ছে ‘স্ট্যাচু অব লিবার্টি’র পেছনে। ঠিক এসময় পৃথিবীর ছায়া গ্রাস করতে শুরু করে চাঁদকে। নিউ ইয়র্কে তখন ৩১ জানুয়ারি ভোররাত।
নরওয়ের তুষার শুভ্র পাহাড়ি অঞ্চল থেকে দেখা  আংশিক চন্দ্রগ্রহণ।  ছবি: সংগৃহীত
নরওয়ের তুষার শুভ্র পাহাড়ি অঞ্চল থেকে আংশিক চন্দ্রগ্রহণ দেখা যায়। চন্দ্রগ্রহণের সময় পৃথিবীর পরোক্ষ ছায়ার কারণে চাঁদ থেকে নীল আলো ফিল্টার হয়ে আসে। ফলে চাঁদকে দেখায় লালচে। চাঁদ এরকম লালচে রং ধারণ করলে তাকে বলা হয় ব্লাড মুন।
ক্যালিফোর্নিয়ার সান্টা মোনিকা নাগরদোলা।  পেছনে ৩১ জানুয়ারির সুপার মুন।  ছবি: সংগৃহীত
ক্যালিফোর্নিয়ার বিখ্যাত সান্টা মোনিকা নাগরদোলা। পেছনে ভোরের চাঁদ। পৃথিবীর ছায়া অর্ধেকটা গ্রাস করেছে চাঁদকে।
ভারতের মুম্বাই থেকে দেখা সুপার মুন।  ছবি: সংগৃহীত
এটি ছিল মাসের দ্বিতীয় পূর্ণিমার চাঁদ, যাকে বলা হয় ‘ব্লু-মুন’। নামে নীল চাঁদ হলেও নীল রঙের সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই। ভারতের মুম্বাই থেকে ফ্রেমবন্দি ব্লু-মুন।  
ইতালীর আকাশে সুপার মুন।  ছবি: সংগৃহীত
চাঁদ উঠেছে ইতালির প্রাগৈতিহাসিক শহর আইজানোই’র আকাশে। ইউরোপের বেশিরভাগ অঞ্চল থেকে চন্দ্রগ্রহণ দেখা যায়নি। তাছাড়া আফ্রিকা ও দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চল থেকেও দেখা যায়নি এ দৃশ্য। তবে সুপার মুন হতাশ করেনি কোনো অঞ্চলকেই। এদিন চাঁদকে স্বাভাবিকের তুলনায় কিছুটা বড় ও অধিক উজ্জ্বল দেখায়।  
গোল্ডেন গেট ব্রিজের পেছনে চন্দ্রগ্রহণের দৃশ্য।  ছবি: সংগৃহীত
যুক্তরাজ্যের সানফ্রানসিসকোর গোল্ডেন গেট ব্রিজের পেছনে চন্দ্রগ্রহণের দৃশ্য।
স্তানবুলের আকাশে সুপার মুন।  ছবি: সংগৃহীত
তুরস্কের বসফরাস প্রণালিতে চলাচলকারী একটি লঞ্চ। পেছনে ইস্তানবুলের আকাশে উঠেছে সুপার মুন। বসফরাস প্রণালী আলাদা করেছে ইউরোপ ও এশিয়া মহাদেশকে। আর এ প্রণালী যুক্ত করেছে কৃষ্ণ সাগর ও মারমারা উপসাগরকে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০১, ২০১৮
এনএইচটি/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।