শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় ইন্দিরা গান্ধী কালচারাল সেন্টার জাতীয় জাদুঘরে আয়োজন করে আবৃত্তি সন্ধ্যার। ‘সুপরিবেশ ও সুচেতনা' শিরোনামের এ আয়োজনে পরিবেশ সম্পর্কিত বিভিন্ন কবির কবিতা আবৃত্তি করেন শিল্পীরা।
এ সময় ডালিয়া দাসের কণ্ঠে আবু হেনা মোস্তফা কামালের ‘ছবি’, পঙ্কজ সাহার ‘নীরবতার নীচে’, মহাদেব সাহার ‘ফেরা’ ও ‘ধুরত্ব’, হালিমা খাতুনের ‘অন্ধকার’, জসীম উদদীনের ‘এ গাঁও ও গাঁও’, শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের ‘মানুষ যেভাবে কাঁদে', সুকান্ত ভট্টাচার্যের 'ছাড়পত্র', রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের 'পায়ে চলার পথ'সহ বেশ কিছু কবিতার নিবেদন হয়।
বিধান চন্দ্র পাল নিবেদন করেন হুমায়ূন আহমেদের 'শুভেচ্ছা', জীবনানন্দ দাশের 'আবার আসিব ফিরে', শঙ্খ ঘোষের 'ঝলস্পর্শ', শামসুর রহমানের 'একটি কবিতার জন্য', সৈয়দ শামসুল হকের 'একদা একটি দেশ ছিল'সহ বেশ কিছু কবিতা।
অনুষ্ঠানে সমবেত আবৃত্তিও পরিবেশন করেন শিল্পীরা। এসময় পুরো অনুষ্ঠান জুড়ে তাদের সঙ্গে যন্ত্রে ছিলেন মো. আবুল কাশেম (সেতার), মো. শহিদুল হক (বাঁশি) ও মো. এজানুর রহমান (কী-বোর্ড)।
অনুষ্ঠান সম্পর্কে ইন্দিরা গান্ধী কালচারাল সেন্টারের পরিচালক জয়শ্রী কুণ্ডু বাংলানিউজকে বলেন, সামগ্রিক বিশ্ব প্রেক্ষাপট বিবেচনায় এখন পরিবেশের বিষয়টি সত্যিই খুব গুরুত্বপূর্ণ। এ নিয়ে দল-মত, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলের সচেতন হয়ে ওঠা প্রয়োজন। এ নিয়ে সবার অবস্থান থেকেই করণীয় রয়েছে। ফলে পরিবেশের মতো এমন একটি বিষয় নিয়ে আবৃত্তি আয়োজন অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ও যুগোপযোগী বিষয়।
আয়োজন নিয়ে বিজ্ঞজনদের মতামতও ঠিক তেমনই। অনুষ্ঠান সম্পর্কে সংস্কৃতি মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর জানান, এ ধরনের আয়োজনের মধ্য দিয়ে পরিবেশের সৌন্দর্যের প্রতি মানুষ আরো আকৃষ্ট হবে। ফলে পরিবেশের উন্নয়নে মানুষ আরো উজ্জীবিত হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১৮
এইচএমএস/এমএ