সহস্রবর্ষী এ ঘড়িটি তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে একটি মার্কিন অলাভজনক প্রতিষ্ঠান ‘লং নাউ ফাউন্ডেশন’। মানুষের দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার প্রতীক বহন করবে ঘড়িটি।
আর এ ঘড়িটি তৈরি হচ্ছে টেক্সাস মরুভূমিতে অবস্থিত আমাজন প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোসের মালিকানাধীন একটি কারখানায়।
জানা যায়, বেজোস নিজেও এ ঘড়ি নির্মাণের পেছনে বিনিয়োগ করছেন ৪২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
ঘড়িটির মূল পরিকল্পনা মার্কিন উদ্ভাবক ড্যানি হিলসের। তিনি ১৯৮৯ সালে হাজার বছর নির্ভুল সময় দেখাবে এমন একটি ঘড়ির নকশা তৈরির কাজ শুরু করেন। ১৯৯৫ সালে তিনি তার পরিকল্পনা প্রথম প্রকাশ করেন ‘ওয়ার্ড’ ম্যাগাজিনের একটি প্রবন্ধে।
ড্যানি হিলসের নকশা অনুযায়ী ঘড়িটি প্রতি এক বছর অন্তর অন্তর স্পন্দিত হবে, ঘড়ির কাঁটা এগোবে প্রতি ১০০ বছর পর এবং প্রতি এক হাজার বছর পর একটি বিশেষ সংকেত জানাবে।
ঘড়িটি চলবে পৃথিবীর থার্মাল সাইকেলের (তাপচক্র) সাহায্যে। এতে ব্যবহৃত হবে ইস্পাত, টাইটানিয়াম ও বিশেষ ধরনের সিরামিক।
নির্মাণ শেষে ঘড়িটি দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। তবে কবে নির্মাণকাজ শেষ হবে তা জানায়নি লং নাউ ফাউন্ডেশন।
সম্প্রতি একটি ব্লগ পোস্টে জেফ বেজোস লিখেছেন, একটা বিশেষ ঘড়ি নির্মাণ করছি। এটা মানুষকে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা নিতে উৎসাহ যোগাবে।
জানা যায়, এ ঘড়িটির একটি প্রতিরূপ (রেপ্লিকা) তৈরি হয়েছিল ১৯৯৯ সালে। সেটি বর্তমানে লন্ডনের বিজ্ঞান জাদুঘরে প্রদর্শনীর জন্য রাখা আছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৩২৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১৮
এনএইচটি/এএ/জেএম