এক সংবাদ সম্মেলনে নতুন এ আবিষ্কারটি জনসম্মুখে তুলে ধরেন মিশরের পুরাতত্ত্ব মন্ত্রী খালিদ এল-এনানি। সন্ধান পাওয়া ভূ-গর্ভস্থ সমাধিক্ষেত্রটির অবস্থান নীলনদের পশ্চিম তীরবর্তী তুনা এল-গেবেল নামক অঞ্চলে।
এল-এনানি বলেন, সমাধিক্ষেত্রটিতে অসংখ্য প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন রয়েছে। খনন কাজ চালিয়ে এসব সংগ্রহ করতে বিশেষজ্ঞদের সময় লাগবে প্রায় পাঁচ বছর।
জানা যায়, সমাধিক্ষেত্র থেকে এখন পর্যন্ত পাওয়া গেছে ৪০টি রাজকীয় কফিন, হাজারেরও বেশি মূর্তি। তাছাড়া মিলেছে অসংখ্য মাটির পাত্র, অলংকার এবং লাকি চার্ম (সৌভাগ্য বহরকারী পাথরের খোঁদাই)।
পুরোহিতের মমিগুলোর মধ্যে একটি বিশেষ মমির সন্ধান পাওয়া যায়। গবেষকদের ধারণা, এ ব্যক্তিই থোথের উপসনাকারীদের প্রধান পুরোহিত। তামার গলাবন্ধনী ও অসংখ্য রঙিন জপমালায় সজ্জিত ছিল মমিটি। কফিনের ভেতর প্রত্নতাত্ত্বিকরা একটি বিশেষ মাদুলি পান। মাদুলিটিতে মিশরীয় চিত্রলিপিতে লেখা, ‘শুভ নববর্ষ’। অনেক গবেষকের মতে, জুলাই মাসে পালিত হতো প্রাচীন মিশরীয় নববর্ষ।
তুনা এল-গেবেলে খনন কাজ চালাচ্ছেন কায়রো ইউনিভার্সিটির প্রত্নতত্ত্ববিদরা। আর তা পরিচালিত হচ্ছে মিশরের প্রত্নতত্ত্ব পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা ওয়াজিরির দফতর থেকে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০১৮
এনএইচটি/এএ