অত্যাধুনিক এ আকাশযানটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘এক্স-প্লেন’। সম্প্রতি প্লেনটির ডিজাইন, নির্মাণ ও পরীক্ষামূলক উড্ডয়ন বাবদ ২৪৭ মিলিয়ন ডলারের একটি চুক্তি সম্পাদিত হয়েছে নাসা ও লকহিড মার্টিনের মধ্যে।
নাসা একটি বিবৃতিতে জানায়, শব্দের চেয়েও দ্রুতগতিতে চলবে প্লেনটি, কিন্তু এ থেকে সনিক বুমের আওয়াজ পাওয়া যাবে না। শব্দের বেগের কাছাকাছি বা তার থেকেও বেশি বেগে আকাশযান চলাচল করলে একধরনের তরঙ্গ সৃষ্টি হয়। এ তরঙ্গের ফলে যে বিপুল শব্দ উৎপন্ন হয় তাকে সনিক বুম বলে। এ শব্দ শুনতে অনেকটা বাজ পড়ার শব্দের মতো শোনায়।
লকহিড মার্টিনের প্রাথমিক ডিজাইন অনুযায়ী প্লেনটির দৈর্ঘ্য হবে ৯৪ ফুট। প্রতিটি পাখার দৈর্ঘ্য ২৯ দশমিক ৫ ফুট ও ওজন হতে চলেছে ৩২৩০০ পাউন্ড। মাটির ৫৫ হাজার ফুট উঁচু দিয়ে ঘণ্টায় ৯৪০ মাইল বেগে ছুটে চলবে তা।
নাসা জানায়, ২০১৯ সালের মধ্যে ডিজাইন অনুযায়ী এক্স-প্লেন নির্মাণ সম্পন্ন হবে। ২০২১ সালে তা পরীক্ষামূলকভাবে আকাশে ওড়ানো হবে। সবকিছু পরিকল্পনা মোতাবেক চললে, ২০২৫ সাল নাগাদ তা যুক্তরাষ্ট্রের চার থেকে ছয়টি শহরে চলাচল শুরু করবে।
এক্স-প্লেন নির্মাণের মূল উদ্দেশ্য শব্দের চেয়েও দ্রুতবেগে ছুটে চলার সময় সনিক বুমের আওয়াজ মুছে ফেলা। প্রায় এক হাজার মাইল বেগে ছুটতে সক্ষম বিগত প্রজন্মের সুপারসনিক প্লেন ‘কনকর্ড’-এর ক্ষেত্রে এই সনিক বুম ছিল একটি বড় সমস্যা।
তবে যাত্রী পরিবহনের জন্য সুপারসনিক প্লেন নিষিদ্ধ করেছে ফেডারেল অ্যাভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন। তাই প্রাথমিক ডিজাইনে প্লেনটিতে কোনো প্যাসেঞ্জার সিট রাখা হয়নি। নির্মাতারা আশা করছেন, এক্স-প্লেন সব ধরনের পরীক্ষায় উতরে গেলে এ নিষেধাজ্ঞা উঠে যাবে।
গতমাসে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক্স-প্লেন নির্মাণের জন্য একটি বাজেট স্বাক্ষর করেন। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, দ্রুতগতির বাণিজ্যিক এয়ারলাইন চালুর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য বিশ্বদরবারে নতুন নতুন সুযোগ সৃষ্টি হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০০৫০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৫, ২০১৮
এনএইচটি/এএ