বিজ্ঞানীরা বলছেন, এটিই বিশ্বের সবচেয়ে বড় মশার প্রজাতি। নাম- হলোরাসিয়া মিকাডো (Holorusia Mikado)।
জানা যায়, দানবাকৃতির এ মশার প্রজাতিটির প্রথম দেখা মেলে ১৮৭৬ সালে জাপানে। ব্রিটিশ পতঙ্গবিজ্ঞানী জন ওয়েস্টউড এর নামকরণ করেন। এ প্রজাতির মশার প্রসারিত পাখার দৈর্ঘ্য সাধারণত হয় আট সেন্টিমিটার।
চীনের পশ্চিমাঞ্চলে এ মশাটিকে ডাকা হয় ‘সারস মশা’। বেঢপ আকৃতির কারণে এরা তেমন উড়তে পারে না। অনেকটা লাফানোর ভঙ্গিতে এরা চলাচল করে। এদের খুঁজে পাওয়া খুবই কষ্টকর। অনেক ঘন গাছপালা সমৃদ্ধ জঙ্গলে লুকিয়ে থাকতে পছন্দ করে।
পশ্চিম চীনের একটি পতঙ্গ জাদুঘরের তত্ত্বাবধায়ক ঝাও লি জানান, এ মশাগুলোকে খুবই ভয়ঙ্কর দেখালেও এরা রক্ত খায় না। ফুলের নেকটার এদের প্রধান খাবার। আর একটি মশার আয়ু মাত্র কয়েকদিন।
পৃথিবীতে প্রায় ১০ হাজারেরও বেশি প্রজাতির মশার বসবাস। এরমধ্যে খুববেশি হলে ১০০ প্রজাতি রক্ত খায় এবং বিভিন্ন রোগ-জীবাণুর সংক্রমণের কারণ।
বাংলাদেশ সময়: ০৬৩০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৬, ২০১৮
এনএইচটি/এএ