কানেক্টিকাট প্রদেশের ডানবারি হসপিটালে ১২ সদস্যের মেডিক্যাল টিম টিউমারটি অপসারণ করেন। চিকিৎসকরা জানান, ৩৮ বছর বয়সী ওই নারীর টিউমারটি প্রতি সপ্তাহে ১০ পাউন্ড করে বৃদ্ধি পাচ্ছিলো এবং ধীরে ধীরে পরিপাকক্রিয়া অকার্যকর করে দিচ্ছিল।
দীর্ঘ পাঁচ ঘণ্টার সার্জারির মাধ্যমে দেহের গুরুত্বপূর্ণ প্রত্যঙ্গগুলো অক্ষত রেখে বিশালাকৃতির টিউমারটি অপসারণের পরিকল্পনা তৈরি করতে চিকিৎসকদের সময় লাগে দুই সপ্তাহ। সার্জারিটি সফল হয় এবং রোগীকে দুই সপ্তাহ পর হাসপাতাল থেকে ছুটি দেওয়া হয়। তবে রোগীর নাম প্রকাশ করেনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
চিকিৎসকদের মতে, এটি ছিল মেডিক্যাল ইতিহাসের অন্যতম টিউমার অপসারণ।
মেডিক্যাল টিমের প্রধান গাইনিকোলোজিস্ট ভ্যাগন অ্যান্ডিকেইন বলেন, টিউমারটি রোগীর বাম ওভারিতে বেড়ে ওঠে। আমরা তার বাম ওভারি এবং এর ক্ষতিগ্রস্ত টিস্যুগুলো অপসারণ করি।
তিনি জানান, এটি ছিল মিউকিনাস (মিউকাসজনিত) টিউমার। এধরনের টিউমার আকারে বড় হলেও, কখনো এতো বড় হতে দেখা যায় না। পরিপাকক্রিয়া অচল করে ফেলায় রোগীর স্বাস্থ্য খুবই ভেঙে যায়। টিউমারের ওজনের কারণে তিনি হুইলচেয়ারে চলাচল করতেন।
এরকম বিশাল টিউমার জন্মানোর কারণ সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে বর্তমানে এর জেনেটিক বৈশিষ্ট্য নিয়ে গবেষণা চলছে। চিকিৎসকরা আশা করছেন, এ গবেষণার ফলে এধরনের টিউমারের চিকিৎসাপদ্ধতি আরও উন্নত করা সম্ভব হবে।
২০১৬ সালে ভারতের উত্তর প্রদেশের ৪৫ বছর বয়সী এক নারীর ওভারি থেকে ২১৩ পাউন্ডের (৯৭ কেজি) টিউমার অপসারণ করা হয়। অর্থের অভাবে প্রায় পাঁচ বছর চিকিৎসাহীন অবস্থায় কষ্ট পান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২১ ঘণ্টা, মে ০৪, ২০১৮
এনএইচটি