২০১৭ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর মেক্সিকোতে ৭.১ মাত্রার একটি ভূমিকম্প হয়। এ ভূমিকম্পে প্রাণ হারায় প্রায় ২০০ জন।
এরপর প্রত্নতাত্ত্বিকরা রাডারের সাহায্যে ১৩ শতকের এ পিরামিডটির ক্ষয়ক্ষতি মূল্যায়ন করেন। আর তা করতে গিয়েই এর ভেতর খুঁজে পান প্রাচীন এক উপাসনালয়। প্রত্নতাত্ত্বিকরা বলছেন, মন্দিরটি ৮০০ বছরের বেশি সময় ধরে পিরামিডের ভেতর অনাবিষ্কৃত অবস্থায় ছিল।
মেক্সিকোর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব অ্যানথ্রোপলজি অ্যান্ড হিস্ট্রির (আইএনএএইচ) গবেষকরা বলছেন, তাহুইকা সংস্কৃতির অ্যাজটেক মানুষরা সম্ভবত ১১৫০ সালে মন্দিরটি নির্মাণ করেন। স্থাপনাটি আনুমানিক ২০ ফুট লম্বা এবং ১৩ ফুট প্রশস্ত। মন্দিরের ভেতর মাটির পাত্র ও ধূপ-বাতি সংরক্ষিত ছিল।
ভূমিকম্পে পিরামিডের কেন্দ্রীয় কাঠামোর কিছু অংশ ভেঙে পড়ে। এছাড়াও পিরামিডের ভেতর আগে থেকেই আবিষ্কৃত দু’টি মন্দিরও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ দু’টি মন্দিরের একটি বৃষ্টির দেবতাকে উৎসর্গ করে নির্মাণ করা; অপরটি যুদ্ধের দেবতাকে উৎসর্গ করে। ভূমিকম্পের ফলে মন্দির দু’টির মেঝে সরে যায়। গবেষকরা ক্ষতিগ্রস্ত জায়গাটির সূক্ষ্ম অনুসন্ধান শুরু করেন। এরপর সেই মেঝের সাড়ে ছয় ফুট গভীরে অনাবিষ্কৃত মন্দিরটির দেখা পান।
প্রত্নতাত্ত্বিকরা বলছেন, নতুন আবিষ্কৃত মন্দিরটিও নির্মাণশৈলীর দিকে দিয়ে পিরামিডের অন্য মন্দিরগুলোর মতোই। স্থাপনাটির বাইরের অংশ পাথর খচিত।
আইএনএএইচ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, নতুন আবিষ্কৃত মন্দিরটি মেক্সিকোর পুরনো সংস্কৃতির ইতিহাস উদঘাটনে সাহায্য করবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৭ ঘণ্টা, জুলাই ১৪, ২০১৮
এএইচ/এনএইচটি/এএ