নির্মাতাদের মতে, এই ভবনটি বিশ্বের সবচেয়ে উত্তরের স্কাইস্ক্র্যাপার। ৮৭ তলা ভবনটির বাইরের কাঠামোটি নিচ থেকে ওপর দিকে সম্পূর্ণ ৯০ ডিগ্রি মোচড়ানো, যা দেখতে ঘূর্ণমান সুঁই-এর সঙ্গে তুলনা করা যায়।
আবাসিক ও বাণিজ্যিক উভয়ই ক্ষেত্রেই ব্যবহার করা হবে ভবনটির বেশিরভাগ অংশ। ওপরের অংশে স্থাপন করা হবে একটি অবজারভেশন ডেক ও রেস্টুরেন্ট, যেখান থেকে গাল্ফ অব ফিনল্যান্ডের শ্বাসরূদ্ধকর দৃশ্য উপভোগ করতে পারবেন দর্শোনার্থীরা।
লাখতা টাওয়ার নির্মাণের আগে ইউরোপের সবচেয়ে উঁচু ভবনটি ছিল মস্কোর ফেডারেল টাওয়ার (৩৭৪ মিটার)। এ তালিকার পরবর্তী ছয়টি ভবনও মস্কোতেই।
লাখতা টাওয়ারের ভিত্তিপ্রস্ত স্থাপন করা হয় ২০১২ সালে। এটি মূলত ব্যবহৃত হবে রাশিয়ার গ্যাস নিষ্কাশন, উৎপাদন ও সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান গ্যাজপ্রমের সদর দফতর হিসেবে। আশা করা যাচ্ছে, ২০১৯ সালে প্রতিষ্ঠানটি লাখতা টাওয়ারে তাদের সদর দফতর স্থানান্তর করবে।
টাওয়ার প্রজেক্টের একজন প্রকৌশলী ফিলিপ নিকান্দ্রোভ সংবাদ মধ্যমকে জানান, এই গ্রীষ্মেই ভবনের বাইরের দিকের কাজ সম্পূর্ণ শেষ হবে। ভেতরের অংশের কাজ ২০১৯ সাল পর্যন্ত চলবে।
টাওয়ারের সবচেয়ে চিত্তাকর্ষক ব্যাপারটি নজরে পড়বে ড্রোন ইমেজে। টাওয়ারটি ডিজাইন করা হয়েছে অগ্নিশিখার প্রতীকীরূপে যা গ্যাজপ্রমের লোগোর একটি বৈশিষ্ট।
নিকান্দ্রোভ জানান, টাওয়ারের সম্পূর্ণ এলাকার এক তৃতীয়াংশ গ্যাজপ্রমের অফিসের জন্য ব্যবহৃত হবে। বাকি অংশে পাবলিকের জন্য বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এতে থাকছে থিয়েটার, হল, দোকানপাট, চিকিৎসা ও স্বাস্থ্যসেবা এবং প্ল্যানেটারিয়ামসহ একটি বিজ্ঞান জাদুঘর।
বর্তমানে উচ্চতার দিক থেকে লাখতা সেন্টার বিশ্বের ১৩তম।
বাংলাদেশ সময়: ০৯১৯ ঘণ্টা, আগস্ট ০৫, ২০১৮
এনএইচটি