ড্রোনে ধারণ করা একটি ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে নতুন এ তথ্য পাওয়া যায়। ড্রোনের ভিডিওতে দেখা যায়, গাছ দিয়ে আচ্ছাদিত একটি জায়গা।
বলা হচ্ছে, ড্রোনে ধরা পড়া জায়গাটি জাভারি নদীর উপত্যকা। এটি পেরু ও ব্রাজিল সীমান্তের খুব কাছাকাছি একটি জায়গা।
ব্রাজিল সরকারের ইন্ডিজিনাস সংস্থা 'ফুনাই' ড্রোনের ভিডিওগুলো ধারণ করেছে। ‘ফুনাই’ নামে এ সংস্থা সেখানকার আরও অনেক ছবি তুলেছে। পাম গাছ ও খেজুর গাছ দিয়ে তৈরি বাড়ি, পাথর দিয়ে তৈরি ধারালো অস্ত্র যার হাতল কাঠের, এছাড়াও কুঁড়েঘরের ছবি। এ ছবিগুলোও প্রকাশ করেছে ‘ফুনাই’।
‘ফুনাই’ বলছে, এ অঞ্চলের আটটি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সঙ্গে বহির্বিশ্বের যোগাযোগ রয়েছে। এছাড়াও কমপক্ষে ১১টি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী রয়েছে যাদের সঙ্গে বহির্বিশ্বের কোনো যোগাযোগ নেই। তারা বিচ্ছিন্ন।
‘ফুনাই’য়ের অভিযানিক দলটি নৌকা, ট্রাক, মোটরসাইকেলে করে ১১০ মাইল পাড়ি দিয়েছে। আর ৭৫ মাইলের মতো জায়গা হেঁটে গিয়েছে। তারা হেঁটে এমন জায়গাতেও গিয়েছে যেখানে সাধারণত হাঁটা দুঃসাধ্য।
ফুনাই জানায়, লাইসেন্স ছাড়াই জঙ্গলে শিকার করে এবং বিনা অনুমতিতেই জমি অধিগ্রহণ করে নেয় এমন দু’টি দলকে আটক করেছে পুলিশ বাহিনী। তবে এরা সেই দলের কিনা তা এখনও জানা যায়নি। এছাড়া এসব ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী মূলত প্রাকৃতিক দুর্যোগের শিকার হয়।
সারভাইভাল ইন্টারন্যাশনালের বলছে, আদিবাসীদের রক্ষা করার লক্ষ্যে কাজ করে ‘ফুনাই’। যে সব ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর বাইরের জগতের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ নেই, তাদের সুরক্ষিত রাখার জন্য কাজ করে এ সরকারি সংস্থা।
বাংলাদেশ সময়: ০৩০৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০১, ২০১৮
এএইচ/এএ