নিউজিল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চলের উপসাগরীয় ছোট্ট গ্রাম ওমাউই। এ গ্রামের কর্তৃপক্ষ বিড়াল নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
এনভায়রনমেন্ট সাউথল্যান্ড বিড়াল নিষিদ্ধের এ প্রস্তাব দিয়েছে। তাদের এ প্রস্তাবের ভিত্তিতে গ্রামের সব বিড়ালকে বন্ধ্যা করার নির্দেশও দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এছাড়াও বিড়াল মালিকদের তাদের বিড়ালের নিবন্ধন করতে বলা হয়েছে।
পোষা বিড়ালের মৃত্যুর পর গ্রামবাসী নতুন করে বিড়াল পোষার অনুমতি পাবেন না। এ নিয়ে গ্রামটিতে বেশ আলোচনাও চলছে।
কর্তৃপক্ষ বলছে, বিড়াল নিষিদ্ধের ব্যাপারটা হয়তো খারাপ শোনাতে পারে। কিন্তু গ্রামবাসীকে ব্যাপারটা বিবেচনায় আনতে হবে। কারণ বিড়ালের জন্য মারা যাচ্ছে লাখ লাখ পাখি। এছাড়াও অনেক স্তন্যপায়ী প্রাণীর মৃত্যুর কারণও বিড়াল।
স্মিথসোনিয়ান মাইগ্রেটরি বার্ড সেন্টারের প্রধান ড. পিটার মাররা এ বিষয়ে অনেক লেখালিখি করেছেন। তিনি বলেন, বিড়াল অসাধারণ একটি প্রাণী। কিন্তু তাদের বেরুতে দেওয়া উচিত নয়। এটাই ভালো সমাধান। আমরা কুকুরকে এরকম করতে দেই না। এখন কুকুরের মতো বিড়ালের ক্ষেত্রেও তাই করতে হবে।
ওমাউই গ্রামের কর্তৃপক্ষ বলছে, ক্যামেরায় ধরা পড়েছে বাইরে ঘুরে বেড়ানো বিড়াল পাখি শিকার করে। পাখি ছাড়াও পোকা-মাকড়, অন্য সরীসৃপ প্রাণীও শিকার করে বিড়াল।
বিড়ালের সংখ্যা ও স্থানীয় ইকো-সিস্টেম নিয়ে আলোচনা শুধু ওমাউই গ্রাম নিয়েই নয়, সংরক্ষণবাদী বিজ্ঞানীরা এ বিষয়ে দীর্ঘদিন থেকে সতর্ক করে আসছেন। তারা বন্য ও পোষা বিড়ালের ক্ষেত্রে সতর্ক বাণী উচ্চারণ করছেন। তারা বলছেন, বিশ্বের সবচেয়ে আক্রমণাত্মক ১০০টি প্রাণীর মধ্যে বিড়ালও রয়েছে।
ড. পিটার মাররা আরও বলেন, বিশ্বের প্রায় ৬৩টি প্রজাতির বিলুপ্তির জন্য বিড়াল দায়ী। এ অঞ্চলে সমস্যাটির জন্য ইকো-সিস্টেমে প্রভাব পড়ছে।
তিনি আরও বলেন, এটা হয়তো খারাপ শোনাচ্ছে। কিন্তু পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণের বাইরে।
বাংলাদেশ সময়: ০৪৪০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৩, ২০১৮
এএইচ/এএ