ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফিচার

ইতিহাসের এই দিনে

চিত্রশিল্পী কামরুলের জন্ম-বিমলের প্রয়াণ

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫৪২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২, ২০১৮
চিত্রশিল্পী কামরুলের জন্ম-বিমলের প্রয়াণ প্রখ্যাত চিত্রশিল্পী কামরুল হাসান ও কথাসাহিত্যিক বিমল মিত্র, ফাইল ফটো

ঢাকা: ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সে সব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভালো, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ।

তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে বাংলানিউজের পাঠকদের জন্য নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিন’।

০২ ডিসেম্বর ২০১৮, রোববার। ১৮ অগ্রহায়ণ, ১৪২৫ বঙ্গাব্দ। এক নজরে দেখে নিন ইতিহাসের এ দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম-মৃত্যুদিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

ঘটনা
১৮৫২- তৃতীয় নেপোলিয়নকে সম্রাট করে দ্বিতীয় ফরাসি সাম্রাজ্য ঘোষণা।
১৯৪২- শিকাগোতে বিশ্বের প্রথম আণবিক চুল্লি পরীক্ষামূলকভাবে শুরু।
১৯৫৬- কিউবার অবিসংবাদিত নেতা ফিদেল কাস্ত্রোর স্বাধীনতা সংগ্রাম শুরু।
১৯৭৮- রোমে আন্তর্জাতিক কৃষি উন্নয়ন তহবিল সদর দফতর স্থাপন।
১৯৮৪- ভারতের ভূপালে বিষগ্যাসে তিন হাজার লোক নিহত এবং ৫০ হাজার লোক ক্ষতিগ্রস্ত হন।
১৯৯৫- লাওসে প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৯৭- ঐতিহাসিক পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত।

জন্ম
১৯২১- প্রখ্যাত চিত্রশিল্পী কামরুল হাসান।

ব্রিটিশ ভারতের বর্ধমান জেলার কালনা থানার নারেঙ্গা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন কামরুল। তার পুরো নাম আবু শরাফ মোহাম্মদ কামরুল হাসান। কামরুল হাসানকে সবাই শিল্পী বললেও তিনি নিজে ‘পটুয়া’ নামে পরিচিত হতে পছন্দ করতেন। জীবদ্দশায় বিভিন্ন পুরস্কারে ভূষিত হন কামরুল। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- প্রেসিডেন্ট পুরস্কার (তমঘা-ই-পাকিস্তান, ১৯৬৫), স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার (১৯৭৯), বাংলাদেশ চারুশিল্পী সংসদ সম্মান (১৯৭৯), কাজী মাহবুবউল্লাহ ফাউন্ডেশন পুরস্কার (১৯৮৫)। ১৯৮৫ সালে তিনি বাংলা একাডেমির ফেলো মনোনীত হন। এছাড়া ছাত্রজীবনে শরীরচর্চায় পারদর্শিতার কারণে ‘মিস্টার বেঙ্গল’ উপাধিও লাভ করেন। কামরুল হাসান ১৯৮৮ সালের ২ ফেব্রুয়ারি জাতীয় কবিতা উৎসবে সভাপতি হিসেবে উপস্থিত থাকাকালীন সময়ে ‘দেশ আজ বিশ্ব বেহায়ার খপ্পরে’ স্কেচটির অঙ্কন কার্য সমাপ্ত করার কয়েক মিনিট পরে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান।

১৯৬০- জনপ্রিয় অভিনেত্রী সুবর্ণা মুস্তাফা।
১৯৭৮- কানাডিয়ান কণ্ঠশিল্পী, গীতিকার ও যন্ত্রশিল্পী নেলি ফুরটাডো।

মৃত্যু
১৯৬৫- সাহিত্যিক সৈয়দ এমদাদ আলী।
১৯৬৬- ওলন্দাজ গণিতবিদ লাউৎসেন এখবার্টস ইয়ান ব্রাউয়ার।
১৯৯১- কথাসাহিত্যিক বিমল মিত্র।

১৯১২ সালে তার জন্ম। বিমল মিত্র বাংলা ও হিন্দি উভয় ভাষায় সাহিত্য রচনা করেছেন। রেলে চাকরি করার পাশাপাশি সাহিত্যচর্চা করতেন তিনি। প্রথম উপন্যাস ‘চাই’। তবে ‘সাহেব বিবি গোলাম’ উপন্যাস লিখে বিখ্যাত হয়ে ওঠেন তিনি। এরপর রেলের চাকরি ছেড়ে পুরোপুরি সাহিত্যসৃষ্টিতে আত্মনিয়োগ করেন। তার অন্যান্য বিখ্যাত উপন্যাস ‘কড়ি দিয়ে কিনলাম’, ‘একক দশক শতক’, ‘চলো কলকাতা’, ‘পতি পরম গুরু’ ইত্যাদি। ৫০০টি গল্প ও শতাধিক উপন্যাসের লেখক বিমল মিত্র তার ‘কড়ি দিয়ে কিনলাম’ গ্রন্থের জন্য ১৯৬৪ সালে রবীন্দ্র পুরস্কারে ভূষিত হন। এছাড়া বহু পুরস্কার ও সম্মান লাভ করেন কামরুল। তার রচনা ভারতের বিভিন্ন চলচ্চিত্রে রূপায়িত হয়েছে। শ্রেষ্ঠ কাহিনীকার হিসেবে তিনি ফিল্মফেয়ার পুরস্কারও পেয়েছেন।

বাংলাদেশ সময়: ০০৪০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০২, ২০১৮
টিএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।