ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফিচার

ইতিহাসের এই দিনে

হাছন রাজার জন্ম

ফিচার ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫৩৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০১৮
হাছন রাজার জন্ম হাছন রাজার জন্ম

ঢাকা: ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সে সব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভালো, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ।

তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সব সময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে বাংলানিউজের পাঠকদের জন্য নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিন’।

২১ ডিসেম্বর ২০১৮, শুক্রবার। ০৭ পৌষ, ১৪২৫ বঙ্গাব্দ। এক নজরে দেখে নিন ইতিহাসের এ দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম-মৃত্যুদিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।  

ঘটনা
১৯১৩- সংবাদপত্র নিউইয়র্ক ওয়ার্ল্ড সর্বপ্রথম শব্দধাঁধা প্রকাশ করে।
১৯৫২- উপমহাদেশে সাইফুদ্দিন কিসলু প্রথম লেনিন শান্তি পুরস্কার পান।
১৯৬৯- অ্যাপোলো ৮ উৎক্ষেপণের ফলে মহাশূন্যে প্রথমবারের মতো মানুষের পক্ষে চন্দ্র প্রদক্ষিণ সম্ভব হয়।
১৯৯১- সোভিয়েত ইউনিয়নের আনুষ্ঠানিক বিলুপ্তি ঘটে।
১৯৯৩- রাশিয়ায় নতুন সংবিধান প্রবর্তন।

জন্ম
১৮০৫- ব্রিটিশ রসায়নবিদ টমাস গ্রাহাম।
১৮৫৪- মরমী কবি ও বাউল শিল্পী হাছন রাজা।

১৮৫৪ সালের ২১ ডিসেম্বর তৎকালীন সিলেট জেলার সুনামগঞ্জে তার জন্ম। তিনি জমিদার পরিবারের সন্তান ছিলেন। হাছন রাজার চিন্তা-ভাবনার পরিচয় পাওয়া যায় তার গানে। তিনি কতো গান রচনা করেছেন তার সঠিক হিসাব পাওয়া যায়নি। ‘হাছন উদাস’ গ্রন্থে তার ২০৬টি গান সংকলিত হয়েছে। তার অনেক গান এখনও সিলেট-সুনামগঞ্জের লোকের মুখে মুখে আছে এবং কালের নিয়মে বেশ কিছু গান বিলুপ্ত হয়ে গেছে। হাছন রাজার কিছু হিন্দি গানেরও সন্ধান পাওয়া যায়।

মরমি গানের ছক-বাঁধা বিষয় ধারা অনুসরণ করেই হাছন রাজার গান রচিত। জগৎ জীবনের অনিত্যতা ও প্রমোদমত্ত মানুষের সাধন-ভজনে অক্ষমতার খেদোক্তিই তার গানে প্রধানত প্রতিফলিত হয়েছে। কোথাও নিজেকে দীনহীন বিবেচনা করেছেন। আবার নিজেকে তুলনা করেছেন অদৃশ্যের হাতে বাঁধা ঘুড়ির সঙ্গে। হাছন রাজা ৭ ডিসেম্বর ১৯২২ সালে মারা যান।

১৯৭৯- সোভিয়েত সাম্যবাদী নেতা ও রাষ্ট্রপ্রধান জোসেফ স্ট্যালিন।
১৯২২ থেকে ১৯৫৩ সাল পর্যন্ত সোভিয়েত ইউনিয়নের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন তিনি। স্ট্যালিন সোভিয়েত ইউনিয়নে কেন্দ্রীয়ভাবে পরিচালিত অর্থনীতি ব্যবস্থার প্রচলন করেন। এসময় দ্রুত শিল্পায়ন ও কৃষিকার্যের যৌথীকরণের মাধ্যমে পুরো দেশটি অল্প সময়ের মধ্যে শিল্পোন্নত দেশে পরিণত হয়। কিন্তু একই সময়ে অর্থনৈতিক উত্থান-পতনে বহু মানুষ দুর্ভিক্ষে মারা যায়।

মৃত্যু
১৯৮২- বাংলা সাহিত্য সমালোচক, বিশিষ্ট চিন্তাবিদ, দার্শনিক ও সাহিত্যপ্রেমী আবু সয়ীদ আইয়ুব।
১৩৭৫- ইতালিয়ান কবি ও কথাশিল্পী জিওভান্নি বোক্কাচিও।
১৯১৭- নোবেলজয়ী জার্মান ঔপন্যাসিক হাইনরিখ ব্যোল।

বাংলাদেশ সময়: ০০৩৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০১৮
টিএ/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।