ঢাকা, রবিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফিচার

কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়-লীলা মজুমদারের প্রয়াণ

ফিচার ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪২৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ৫, ২০১৯
কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়-লীলা মজুমদারের প্রয়াণ কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায় ও লীলা মজুমদার

ঢাকা: ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভালো, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ।

তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে বাংলানিউজের পাঠকদের জন্য নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিন’।

০৫ এপ্রিল ২০১৯, শুক্রবার। ২২ চৈত্র, ১৪২৫ বঙ্গাব্দ। এক নজরে দেখে নিন ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম-মৃত্যুদিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

ঘটনা
১৭৯৪- ফরাসি বিপ্লবের অন্যতম নায়ক জর্জ ডাটনকে গিলোটিনের মাধ্যমে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।
১৯৩১- ব্রিটিশ গভর্নর জেনারেল ও মহাত্মা গান্ধীর মধ্যে রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তি ও গরিবের জন্য লবণের অধিকার সংরক্ষণ বিষয়ক চুক্তি হয়।
১৯৬৪- লন্ডনে চালকবিহীন স্বয়ংক্রিয় প্রথম পাতাল রেল চালু।
 
জন্ম
১৫৮৮- ব্রিটিশ দার্শনিক টমাস হবস।
১৯০৫- বাংলাদেশি শিল্পপতি আবুল কাশেম খান।
১৯১৬- মার্কিন অভিনেতা গ্রেগরি পেক।
১৯২৯- বাংলাদেশের বিশিষ্ট সহিত্যিক, গবেষক ও অনুবাদক গোলাম সামদানী কোরায়শী।
১৯৪৭- ফিলিপাইনের ১৪তম রাষ্ট্রপতি গ্লোরিয়া ম্যাকপাগাল আরোইয়ো।
 
মৃত্যু
১৯২৪- জার্মান শারীরবিদ ভিক্টর হেনসেন।
১৯৩২- বাঙালি কথাসাহিত্যিক প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়।
১৯৪১- স্কটিস জৈবরসায়নবিদ আর্থার ল্যাপওয়ার্থ।
২০০০- ভারতীয় বাঙালি রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়।

১৯২৪ সালের ১২ অক্টোবরে পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়া জেলার সোনামুখীতে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। রবীন্দ্রসংগীত জগতের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ শিল্পীদের মধ্যে কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায় অন্যতম। বিশেষত টপ্পা অঙ্গের রবীন্দ্রসংগীতে তিনি ছিলেন অপ্রতিদ্বন্দ্বী এক গায়িকা। ১৯৩৫ সালে শিশুশিল্পী হিসেবে প্রথম মঞ্চে অবতরণ করেন কণিকা। ১৯৩৭ সালে প্রথম কলকাতার ছায়া সিনেমা হলে আয়োজিত বর্ষামঙ্গল উৎসবে কণিকা রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে দ্বৈতকণ্ঠে ‘ছায়া ঘনাইছে বনে বনে’ গানটি গেয়েছিলেন। কলকাতার মঞ্চে রবীন্দ্রসংগীত শিল্পীরূপে সেটিই ছিল তার প্রথম আত্মপ্রকাশ। ১৯৪৩ সালে বিশ্বভারতীর সংগীত ভবনে রবীন্দ্রসংগীত শিক্ষিকা হিসেবে যোগ দেন কণিকা। একই বছর আকাশবাণীর নিয়মিত শিল্পীরূপে তিনি যোগদান করেন। পরবর্তীকালে বিশ্বভারতীর ইমেরিটাস অধ্যাপকও হন তিনি। ২০০০ সালের ৫ এপ্রিল দীর্ঘ রোগভোগের পর কলকাতাতেই তার জীবনাবসান হয়।

২০০৭- ভারতীয় বাঙালি লেখিকা লীলা মজুমদার।

তার প্রথম গল্প লক্ষ্মীছাড়া ১৯২২ সালে সন্দেশ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। ১৯৬১ সালে সত্যজিৎ রায় সন্দেশ পত্রিকা পুনর্জীবিত করলে তিনি ১৯৬৩ থেকে ১৯৯৪ পর্যন্ত সাম্মানিক সহ-সম্পাদক হিসেবে পত্রিকাটির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ১৯৯৪-এ স্বাস্থের অবনতির জন্য অবসর নেন। তার সাহিত্যিক জীবন প্রায় আট দশকের।

পাকদণ্ডী নামে নিজে লেখা আত্মজীবনীতে তার শিলংয়ে ছেলেবেলা, শান্তিনিকেতন ও অল ইন্ডিয়া রেডিওর সঙ্গে কাজকর্ম, রায়চৌধুরী পরিবারের নানা মজার ঘটনাবলী এবং বাংলা সাহিত্যের মালঞ্চে তার দীর্ঘ পরিভ্রমণের কথা বর্ণিত হয়েছে।

প্রথম আত্মজীবনী ‘আর কোনখানে’র জন্য ১৯৬৯ খ্রিস্টাব্দে রবীন্দ্র পুরস্কার পান তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ০০২০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৫, ২০১৯
টিএ/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।