ভারতের জি বাংলার জনপ্রিয় কমেডি শো ‘মীরাক্কেল আক্কেল চ্যালেঞ্জার-৬’ ধীরে ধীরে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। বিশেষ করে বাংলাদেশি প্রতিযোগী থাকায় তা বাংলাদেশেও জনপ্রিয়তা পাচ্ছে।
মীরাক্কেল ৬ -এ শুরু থেকে থাকলেও মাঝখানে ছিটকে পড়েছিলেন তিনি। আবার ফিরে এসেছেন এবং অতীতের চেয়ে ভালো পারফর্ম করছেন। একদিন তার সঙ্গে আলাপ হলো ফেসবুকে। জানালেন তার ব্যক্তিগত কথা, বললেন স্বপ্ন ও ভবিষ্যতের কথা।
শুরুতেই তার কাছে জানতে চেয়েছিলাম, ‘মীরাক্কেলে যাবার আগে দেশে কোন স্টেইজ পারফরমেন্স করেছিলেন কী না?’ উত্তরে সজল জানালেন, ‘স্কুল কলেজে ছোটবেলা থেকেই পারফর্ম করছি। আমার কাছে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করা প্রায় নেশার মত। জীবনে অনেকগুলো প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছি। পুরস্কারও পেয়েছি কিন্তু কখনো পেশাদারি কমেডি পারফর্ম করা হয়নি। ’
পরের প্রশ্নটি ছিল, ‘এখনতো ভালোই পারফর্ম করছেন, তো কেমন উপভোগ করছেন এখনকার জনপ্রিয়তা, তাও আবার ভিন দেশে?’ তার সরল জবাব, ‘খুব ভালো লাগে যখন বাইরে যাই। বাইরে বের হলেই সবাই তাকিয়ে থাকে, ছবি তুলতে আসে, বিভিন্ন রকমের গল্প করে। কখনো ভাবি নাই অন্য একটা দেশে আমি জনপ্রিয়তা পাব; সে জন্যই সবকিছু ভালোই উপভোগ করছি। ’
এবার আসি ব্যক্তিগত প্রসঙ্গে। পড়ালেখার ব্যাপারে জানতে চাইলে বললেন, এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ-এর উত্তরা ক্যাম্পাসে বিবিএ ৫ম সেমিস্টারে পড়ছেন তিনি। আর গ্রামের বাড়ি প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমার গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে কিন্তু আমার জন্ম ও বেড়ে ওঠা ঢাকাতেই’।
জানতে চাইলাম মীরাক্কেল প্রসঙ্গে। ‘মীরাক্কেল ৬ -এ শেষ পর্যন্ত নিজেকে কোন অবস্থানে আশা করছেন?’ এ বিষয়ে তার এক কথায় জবাব, নিজেকে ফাইনালিস্ট হিসেবে দেখতে চাই।
এবার জানতে চাইলাম তার স্বপ্ন ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে। তার স্বপ্ন ‘জীবনে ভালো অভিনেতা হওয়া। ’ আর ভবিষ্যৎ নিয়ে খুব একটা ভাবেন না সজল। আপাতত তিনি পড়ালেখাটা ঠিকমত শেষ করতে চান তারপর তিনি বাকিটা ভবিষ্যত নিয়ে ভাববেন। এমনটাই জানালেন আড্ডার শেষে।
আর শেষে যোগ করলেন, ‘দেশের নাম উজ্জ্বল করার জন্য যা যা করতে হয় তার জন্য সাধ্যমত লড়াই করে যাব। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০১১