ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে।
ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এ গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে বাংলানিউজের পাঠকদের জন্য নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিন’।
৩০ আগস্ট ২০২০, রোববার। ১৫ ভাদ্র ১৪২৭ বঙ্গাব্দ। এক নজরে দেখে নিন ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম-মৃত্যুদিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।
ঘটনা
১৭২১- লিস্টাভের শান্তি চুক্তি সম্পাদিত।
১৭৯০- জার্মান বিজ্ঞানী নিকালা কন্টে পেন্সিল আবিষ্কার করেন।
১৮৩৫- অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নকে শহর হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
১৮৬০- ব্রিটেনে প্রথম ট্রাম চালু হয়।
১৯০৭- রাশিয়া ও ব্রিটিশ উপনিবেশবাদী সরকার এক চুক্তির মাধ্যমে ইরানকে তিন অংশে বিভক্ত করে।
১৯৩৩- এয়ার ফ্রান্স গঠিত হয়।
১৯৪১- জার্মান বাহিনী লেনিনগ্রাদ অবরোধ করে।
১৯৪৫- হংকং ব্রিটিশ বাহিনীর সহায়তায় জাপানের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভ করে।
১৯৭১- দিল্লিতে বাংলাদেশ মিশনের উদ্বোধন।
১৯৯১- আজারবাইজান প্রজাতন্ত্র সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে আলাদা হয়ে স্বাধীনতা ঘোষণা করে।
১৯৯৭- বসনিয়ায় মুসলিম ক্রোয়েট চুক্তি স্বাক্ষর।
১৯৯৯- পূর্ব তিমুর ইন্দোনেশিয়া থেকে স্বাধীনতার পক্ষে ভোট দেয়।
জন্ম
১৫৬৯- মোগল সম্রাট জাহাঙ্গীর।
১৮৪৪- শিক্ষাবিদ, সাহিত্যিক ও সমাজসেবী চন্দ্রনাথ বসু।
১৮৭১- নিউজিল্যান্ড বংশদ্ভূত ব্রিটিশ পদার্থবিদ, নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী আর্নেস্ট রাদারফোর্ড।
১৯১৭- ব্রিটিশ রাজনীতিবিদ ডেনিস হিলি।
১৯৩০- ওয়ারেন বাফেট।
১৯৭২- চেক প্রজান্ত্রের ফুটবলার ও সাবেক অধিনায়ক পাভেল নেদভেদ।
১৯৭২- অভিনেত্রী ও ফ্যাশন মডেল ক্যামেরন ডায়াজ।
১৯৮২- আমেরিকান টেনিস তারকা এন্ডি রডিক।
মৃত্যু
খ্রিস্টপূর্ব ৩০- মিশরের রানি ক্লিওপেট্রা আত্মহত্যা করেন।
তিনি ছিলেন টলেমিক মিশরের সর্বশেষ সক্রিয় ফারাও। মহামতি আলেকজান্ডারের মৃত্যুর পর তার এক সেনাপতি মিশরে কর্তৃত্ব দখল করেন ও টলেমিক বংশের গোড়াপত্তন করেন। ক্লিওপেট্রার জীবনীকাররা বলেন, তিনি ছিলেন অসম্ভব রকমের নজরকাড়া সুন্দরী। এজন্য এখনও সুন্দরের তুলনা এলে ক্লিওপেট্রার প্রসঙ্গ আসে। ক্লিওপেট্রা অসম্ভব বিলাসবহুল জীবনযাপনও করতেন।
১৪৮৩- ফ্রান্সের রাজা একাদশ লুই।
১৮৭৭- ভারতীয় কবি তরু দত্ত।
১৯১১- বহু ভাষাবিদ মনীষী ও প্রথম ভারতীয় আইসিএস হরিনাথ।
১৯২৮- জার্মান পদার্থবিদ ভিলহেল্ম ভিন।
১৯৮১- বাঙালি ইতিহাসবিদ, শিক্ষক, সাহিত্য সমালোচক, শিল্পকলা গবেষক, দেশবরেণ্য ও আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন মনীষী ড. নীহাররঞ্জন রায়।
১৯০৩ সালের ১৪ জানুয়ারি ময়মনসিংহের কিশোরগঞ্জে তার জন্ম। জ্ঞানের বিভিন্ন ক্ষেত্রে যেমন- শিল্পকলা, প্রাচীন ও আধুনিক সাহিত্য, ইতিহাস, ধর্ম, রাজনীতি এবং জীবনকাহিনীসহ নানা বিষয়ে তিনি বিচরণ করেন এবং বহু গ্রন্থ রচনা করেন। শিল্প-ইতিহাস চর্চায় তিনি প্রথম খ্যাতি অর্জন করেন এবং এ বিষয়টিই ইতিহাসের সমন্বিত দৃষ্টিভঙ্গির ক্ষেত্রে তার গবেষণার ভিত্তি হয়ে উঠেছিল। কর্মজীবনে তিনি বিবিধ পেশার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে কিছুদিন গ্রন্থাগারিকের পদে কাজ করার পর তিনি চারুকলা বিভাগের বাগেশ্বরী অধ্যাপক এবং প্রাচীন ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন।
তিনি রাজ্যসভা ও ভারতীয় পে-কমিশনের সদস্যও ছিলেন। সিমলার ইনস্টিটিউট অব অ্যাডভান্সড স্টাডিজের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক হিসেবে তিনি কাজ করেছেন। কলকাতার জাতীয় গ্রন্থাগার ও ভারতীয় জাদুঘরের মতো সংস্থাগুলোর প্রশাসনেও তিনি কাজ করেছেন। ‘সাহিত্য আকাদেমি পুরস্কার’ ও ভারত সরকারের ‘পদ্মভূষণ’ সম্মাননায় তিনি ভূষিত হন।
২০০১- বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি আফম আহসান উদ্দিন চৌধুরী।
২০০৬- নোবেলজয়ী মিশরীয় সাহিত্যিক নাগিব মাহফুজ।
বাংলাদেশ সময়: ০৯১৮ ঘণ্টা, আগস্ট ৩০, ২০২০
টিএ