ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফিচার

মাছের খাড়ি বিক্রি করে স্বাবলম্বী কবির হোসেন

শাকিল আহমেদ, স্টাফ ফটো করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮১৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ৫, ২০২০
মাছের খাড়ি বিক্রি করে স্বাবলম্বী কবির হোসেন খাড়ি বানাচ্ছেন একজন ব্যক্তি। ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: দিন বদলেছে প্রযুক্তির ছোঁয়ায়। আর তার ধারাবাহিকতায় হারিয়ে যাচ্ছে গ্রাম বাংলার কুটির শিল্পসহ অন্যান্য ঐতিহ্যবাহী শিল্প।

এক সময় এই দেশে গ্রামগঞ্জের কুটির শিল্প ছিল চাহিদার শীর্ষে। তৈরি হতো মানুষের শ্রম ঝরানো হাতে, সময় লাগতো অনেক। আর সেগুলোর সুনামও ছিল বেশ। বর্তমান আধুনিক সভ্যতার যুগে সময় বাঁচাতে হাতে তৈরি ঐতিহ্যবাহী সেই শিল্পগুলো এখন বিলুপ্তির পথে। তবে সেগুলোর প্রতি মানুষের চাহিদা রয়েছে এখনও। আবার অনেকেই আছেন প্রযুক্তি থাকলেও এখনও সেই ঐতিহ্য ধরে রেখেছেন। নিয়েছেন প্রযুক্তির সাথে চ্যালেঞ্জ হিসেবে। আর এমনই একজন হচ্ছেন নারায়ণগঞ্জের কায়েতপাড় ইউনিয়নের কবির হোসেন।

কবির হোসেন বাঁশ দিয়ে মাছের খাড়ি তৈরি করে যাচ্ছেন ২০ বছর যাবত। একটা সময় ওই অঞ্চলের হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন এই মাছের খাড়ি তৈরি করতেন। সেগুলো দেখে দেখে আয়ত্ত করেছেন তিনি। এটাকে এখন পেশা হিসেবে নিয়েছেন। তৈরি করেছেন নিজ বাড়িতে ছোট এক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। সেখানে তার তদারকিতে কাজ করেন আরো থেকে ১০ জন কারিগর। বর্তমানে মাছের এই খাড়ি তৈরি করে তার মাসিক ইনকাম ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, সরকারি অনুদান পেলে এই শিল্পকে আরো ব্যাপকভাবে প্রসারিত করতে পারবেন। কায়েতপাড়ার এই গ্রামেতে ২৫০টি পরিবার এই শিল্পের সাথে সম্পৃক্ত রয়েছে। বাঁশ থেকে বেত কেটে তৈরি করে মাছের খাড়ি। এই খাড়িগুলো রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিক্রি করছেন, বিশেষ করে যেসব এলাকায় মাছের আড়ত রয়েছে সেখানেই বিক্রি হচ্ছে এসব খাড়িগুলো। বিভিন্ন সাইজের তৈরি খাড়িগুলো বিক্রি হয় বিভিন্ন দামে। একসময় বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে কুটির শিল্পের বেশ চাহিদা ছিল। এখনো কিছু কিছু এলাকায় গেলে দেখা যায় শিল্পের সাথে অনেকেই সম্পৃক্ত রয়েছেন এবং এই শিল্পের মাধ্যমে তারা জীবিকা নির্বাহ করছেন।

বাংলাদেশ সময়: ০৯১৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৫, ২০২০
এমকেআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।