ঢাকা: দিন বদলেছে প্রযুক্তির ছোঁয়ায়। আর তার ধারাবাহিকতায় হারিয়ে যাচ্ছে গ্রাম বাংলার কুটির শিল্পসহ অন্যান্য ঐতিহ্যবাহী শিল্প।
কবির হোসেন বাঁশ দিয়ে মাছের খাড়ি তৈরি করে যাচ্ছেন ২০ বছর যাবত। একটা সময় ওই অঞ্চলের হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন এই মাছের খাড়ি তৈরি করতেন। সেগুলো দেখে দেখে আয়ত্ত করেছেন তিনি। এটাকে এখন পেশা হিসেবে নিয়েছেন। তৈরি করেছেন নিজ বাড়িতে ছোট এক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। সেখানে তার তদারকিতে কাজ করেন আরো ৮ থেকে ১০ জন কারিগর। বর্তমানে মাছের এই খাড়ি তৈরি করে তার মাসিক ইনকাম ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, সরকারি অনুদান পেলে এই শিল্পকে আরো ব্যাপকভাবে প্রসারিত করতে পারবেন। কায়েতপাড়ার এই গ্রামেতে ২৫০টি পরিবার এই শিল্পের সাথে সম্পৃক্ত রয়েছে। বাঁশ থেকে বেত কেটে তৈরি করে মাছের খাড়ি। এই খাড়িগুলো রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিক্রি করছেন, বিশেষ করে যেসব এলাকায় মাছের আড়ত রয়েছে সেখানেই বিক্রি হচ্ছে এসব খাড়িগুলো। বিভিন্ন সাইজের তৈরি খাড়িগুলো বিক্রি হয় বিভিন্ন দামে। একসময় বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে কুটির শিল্পের বেশ চাহিদা ছিল। এখনো কিছু কিছু এলাকায় গেলে দেখা যায় এ শিল্পের সাথে অনেকেই সম্পৃক্ত রয়েছেন এবং এই শিল্পের মাধ্যমে তারা জীবিকা নির্বাহ করছেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৯১৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৫, ২০২০
এমকেআর