ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফিচার

জুড়ীর পলো বাওয়া উৎসব 

ডিভিশনাল সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯২৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৬, ২০২০
জুড়ীর পলো বাওয়া উৎসব  পলো উৎসব। ছবি: বাংলানিউজ

মৌলভীবাজার: পানিতে শত-সহস্র মানুষ। আনন্দে মাছ ধরার জন্য নেমেছে।

হাতে তাদের মাছ ধরার পলো। আবহমান বাংলার লোক ঐতিহ্যের অংশ এই উৎসব। যা হারিয়ে যেতে বসেছে।  

মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলায় বিপুল উৎসাহে কন্টিনালা নদীতে শত শত এলাকাবাসীর অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয়েছে পলো বাওয়া উৎসব।  

শনিবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল থেকে শুরু হওয়া গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী এই পলো উৎসব চলে বিকেল পর্যন্ত।

তবে এর আমেজ-আনন্দ রাত পর্যন্ত অংশগ্রহণকারী মানুষের মধ্যে ভাগাভাগি হয়েছে।  এ সময় পলো বাওয়ার পাশাপাশি মাছ ধরার বড়শি, জাল নিয়ে অংশগ্রহণ করেছেন অনেকে।

জুড়ী নদীর শাখা কন্টিনালা নদী থেকে রাবারড্যাম পর্যন্ত দীর্ঘ ৪ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে পলো দিয়ে দেশীয় মাছ ধরার মনোরম সে দৃশ্য উপভোগ করতে স্থানীয় বাসিন্দাদের পাশাপাশি দূর-দূরান্তের হাজারো আবাল-বৃদ্ধ-বণিতা নদীর দুইতীরে ভিড় জমান। এছাড়াও স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা এ দৃশ্য উপভোগ করতে উপস্থিত ছিলেন।

নদীর পানি কম থাকায় শত শত পেশাদার, সৌখিন ও প্রবাসী মাছ শিকারিরা পলো নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েন নদীতে। অনেকেই নানা জাতের দেশীয় মাছ শিকার করে নিয়ে গেছেন আনন্দে  উল্লাসে আবার অনেকে ফিরেছেন খালি হাতে। দীর্ঘ সময় ধরে পলো বাওয়াতে যেন ক্লান্তি নেই। সব মিলে পুরো দিন কন্টিনালা নদীতে উৎসবের আমেজ বয়ে গেছে।

জুড়ীর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আল-ইমরান রুহুল ইসলাম বলেন, আজকাল নদী-নালা, খালবিল ভরে যাওয়ার কারণে এ উৎসব আর চোখে পড়ছে না। তারপরও পলো দিয়ে মাছ ধরা উৎসবটি আজকে এক ব্যতিক্রমধর্মী মাত্রা পেয়েছে। এ ধরনের উৎসব ধরে রাখার জন্য আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবো।  

বাংলাদেশ সময়: ০৯২৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৬, ২০২০
বিবিবি/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।