ঢাকা: বাংলাদেশ ষড়ঋতুর দেশ হলেও শীত অন্যতম। হেমন্তের ভোরে শিশির সিক্ত দূর্বা ঘাস ও পথঘাট।
দূর থেকে দেখলে মনে হয় ঘাসের উপর যেমন চাদর বিছিয়ে আছে ভোরের শিশিরকণা। ঘাসের উপর ভোরের সূর্য কিরণে হালকা লালচে রঙের ঝিলিক দিচ্ছে বিন্দু বিন্দু শিশির কণা। এসব দৃশ্যই শীতের বার্তা দিচ্ছে।
এছাড়াও সন্ধ্যা হলেই পড়তে শুরু করে কুয়াশা। সেই সঙ্গে অনুভূত হয় হালকা শীত।
এদিকে উত্তর থেকে আসছে শিরশিরে বাতাস। সকালে অনেকেই নিজ নিজ গন্তব্যে বের হচ্ছেন হালকা গরম কাপড় জড়িয়ে। ভোরের প্রকৃতিতে হাত বাড়লেই ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা ভাব। কয়েক দিন থেকে শেষ রাতে গায়ে কাঁথা চাপাচ্ছেন অনেকেই। যদিও দিনে গরমের তীব্রতা খুব একটা কমেনি।
প্রকৃতিতে শীতের আমেজ শুরু হতে না হতেই রঙ বে-রঙের অতিথি পাখির করতালে মুগ্ধ হয়ে যায় চারদিক। শীত এলেই দেশ বিদেশ থেকে আসে অতিথি পাখি।
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের কায়েতপাড়া ইউনিয়নের পশ্চিমগা গ্রামটি গাছপালায় ভরা। শীত এলে এ গ্রামটিতে চলে আসে অতিথি পাখি। অতিথি পাখির ডাকে মুগ্ধ হয়ে যায় চারদিক। গাছে গাছে সারি সারি সাদা বকের আনাগোনা। দূর থেকে দেখলে মনে হয় সবুজের মধ্যে সাদা বক যেন চাদর বিছিয়ে রেখেছে।
এছাড়া শীত এলে পাওয়া যায় খেজুর রস। রস দিয়ে তৈরি হয় নানান রকম পিঠা। ভাপা পিঠা, রস পিঠা, চালের পিঠা, পাটিসাপটা এটা, ভাপা পুলিসহ শীতের পিঠা যেমন ভাপা পিঠা, চিতই পিঠা, দোল্লা পিঠা, পান পিঠা, চাপটি পিঠা, নকশি পিঠা ছাড়াও নানা রকম পিঠা তৈরি করা হয় শীতের দিনে।
এছাড়াও শীত এলে নানান রকম শীতের সবজি পাওয়া যায়। ফুলকপি, বাঁধাকপি, লালশাক, পুঁইশাক, মুলা পাওয়া যায়।
বাংলাদেশ সময়: ০৭১৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২১, ২০২১
এনএইচআর