ঢাকা: শহীদ ডা. শামসুল আলম খান মিলনের মৃত্যুবার্ষিকী, মিলন দিবস আজ ২৭ নভেম্বর (শনিবার)। স্বৈরশাসক এরশাদের পতন আন্দোলনের উত্তাল দিনগুলোতে মিলন হত্যাকাণ্ড আন্দোলনকে উত্তপ্ত করে তোলে।
১৯৯০ সালের এই দিনে স্বৈরশাসক এরশাদ বিরোধী আন্দোলনের অগ্নিঝরা উত্তাল সময়ের এ দিনে রাজপথের লড়াকু সৈনিক ডা. শামসুল আলম খান মিলন শহীদ হন।
এরশাদ পতনের অব্যবহিত আগে শামসুল আলম খান মিলনের রক্তদান ছিল এই সামরিক স্বৈরশাসক বিরোধী আন্দোলনের এক টার্নিং পয়েন্ট। ডা. মিলনকে হত্যার মধ্য দিয়ে আন্দোলনের তীব্রতায় এরশাদ সরকারের পতন ত্বরান্বিত হয়৷ প্রবল গণরোসের মুখে স্বৈরাচার এরশাদ অল্প কিছু দিনের মধ্যেই ক্ষমতা ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়।
দীর্ঘ ৯ বছর এরশাদের স্বৈরশাসন বিরোধী আন্দোলনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ছাত্র সংগঠনসহ পেশাজীবী, গণসংগঠনের অসংখ্য নেতাকর্মী আত্মাহুতি দেন। তাদেরকে গুলি করে এবং বিভিন্নভাবে নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করা হয়। এর মধ্যে ডা. শামুসল আলম খান মিলনের হত্যাকাণ্ড ছিল একটি অন্যতম ঘটনা। এই দিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় তৎকালীন স্বৈরশাসক এরশাদের গুপ্ত বাহিনীর গুলিতে তিনি নির্মমভাবে নিহত হন। মিলন হত্যার ঘটনায় স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে তীব্র গণজোয়ার সৃষ্টি হয়। স্বৈচারাচার বিরুদ্ধে আন্দোলনরত রাজনৈতিক দল, ছাত্র সমাজের পাশাপাশি সব শ্রেণি-পেশার মানুষ রাস্তায় নেমে আছে।
শহীদ ডা. শামসুল আলম খান মিলনের রক্তদানের মধ্য দিয়ে স্বৈরাচার বিরোধী গণআন্দোলন সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণে দূর্বার আন্দোলনে রূপ নেয়। এই আন্দোলন অচিরেই পরিণত হয় গণঅভ্যূন্থানে৷ ফলশ্রুতিতে এক ঐতিহাসিক ছাত্র গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ওই বছরই ৬ ডিসেম্বর স্বৈরশাসক এরশাদের পতন ঘটে।
এ দিনটিকে ঘিরে আজ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠন, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে ডা. মিলনের ৩১তম মৃত্যুবার্ষিকী পালন করবে।
বাংলাদেশ সময়: ১০২০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০২১
এসকে/এএটি