আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের (এএফএ) সভাপতি ক্লদিও তাপিয়া আর্জেন্টিনার জাতীয় দলের অধিনায়ক এবং সবচেয়ে বড় তারকা লিওনেল মেসিকে ২০২৬ সালের বিশ্বকাপে দেখতে চান। এই বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হবে যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো ও কানাডায়।
টিওয়াইসি স্পোর্টসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তাপিয়া বলেন, "আমি আশা করি ও বিশ্বকাপে খেলবে। এটাই আমরা সবাই চাই। আমি মনে করি, সে তার প্রাপ্য সম্মান পেয়েছে। এটা পুরোপুরি তার ইচ্ছার ওপর নির্ভর করছে—সে কেমন অনুভব করছে, তার চাওয়া কতটা। আমাদের উচিত তাকে মুক্তভাবে থাকতে দেওয়া এবং তার খেলা উপভোগ করা। আমাদের এখনো বিশ্বের সেরা ফুটবলারের খেলা দেখার সুযোগ আছে, এটুকুই যথেষ্ট। "
তিনি আরও উল্লেখ করেন, আগামী জুনে ৩৮ বছরে পা রাখটে চলা মেসি তার ক্যারিয়ারে সবকিছু অর্জন করেছেন এবং এখনো দুর্দান্ত ফর্মে আছেন। তাপিয়া বলেন, "প্রতিদিন তার খেলাটা উপভোগ করা উচিত, নিজের গতিতে এগোতে দেয়া উচিত। "
তাপিয়ার কাছে মেসি ইতিহাসের সেরা ফুটবলার। এমনকি আরেক আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি দিয়েগো আরমান্দো ম্যারাডোনার চেয়েও বড়।
তিনি বলেন, "নিঃসন্দেহে, আমার কাছে মেসিই সেরা। যদিও এ নিয়ে নানা মত থাকতে পারে। দিয়েগো ছিলেন প্রকৃত দেশপ্রেমিক, তিনি অসাধারণ পরিস্থিতিতে খেলেছেন, এটা প্রমাণিত। কিন্তু যদি আমাকে বেছে নিতে বলা হয়... দুইজনের সময়ও ভিন্ন ছিল। আমাদের গর্বিত হওয়া উচিত, কারণ আমরা দুইজনকেই পেয়েছি, যারা দুজনই বিশ্বের সেরা এবং আর্জেন্টিনার সন্তান। "
সবশেষে, তাপিয়া মেসির বিনয় এবং মানবিক গুণের প্রশংসা করে বলেন, "সে অসাধারণ একজন মানুষ, চমৎকার এক ব্যক্তিত্ব। আমি এটাই সবচেয়ে বেশি মনে রাখি। সম্পর্ক নিয়ে আমি কথা বলতে চাই না, তবে এটা নিশ্চিত — সে দারুণ এক নেতা। "
তাপিয়া এবং ২০২৬ বিশ্বকাপে নতুন ইতিহাস গড়ার স্বপ্ন
তাপিয়া আরও বলেন, তিনি চান ২০২৬ সালের বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা আবারও নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করুক।
তিনি জানান, "আমরা বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন। আমাদের দায়িত্ব হলো শিরোপা রক্ষা করা। "
তাপিয়া আরও স্মরণ করেন, কীভাবে ২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপের পর কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়ে লিওনেল স্কালোনিকে জাতীয় দলের কোচ হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিলেন। তিনি বলেন, "আজ সবাই স্কালোনি ও আর্জেন্টিনা দল নিয়ে কথা বলে সহজেই, কিন্তু সাত বছর আগে সেই সিদ্ধান্ত টিকিয়ে রাখা মোটেও সহজ ছিল না। "
তাপিয়া যোগ করেন, "কেউ ব্যক্তিগত কৃতিত্বের ঊর্ধ্বে নয়। যা কিছু অর্জন হয়েছে, তা ফুটবলার ও কোচিং স্টাফের জন্যই সম্ভব হয়েছে। সবসময় কৃতজ্ঞতার মনোভাব থাকা উচিত। যদি ফলাফল খারাপ হতো, তাহলে আমাদের সবাইকেই বিদ্রুপের মুখে পড়তে হতো, আর হয়তো আজ আমি এখানে থাকতাম না। "
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৬, ২০২৫
এমএইচএম