ভুটান নারী লিগে শনিবারের ম্যাচটি যেন এক প্রকার ‘বাংলাদেশ বনাম বাংলাদেশ’। একদিকে রয়েল থিম্পু কলেজ (আরটিসি) যেখানে খেলছেন তহুরা খাতুন, শামসুন্নাহার জুনিয়র, শাহেদা আক্তার রিপার মতো তরুণরা।
অপরদিকে পারো এফসি দলে রয়েছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুন, মনিকা চাকমা, ঋতুপর্ণা ও সুমাইয়া মাতসুশিমা।
হাইভোল্টেজ এই ম্যাচটিতে রোমাঞ্চ ছিল, কিন্তু শেষ পর্যন্ত গোলসংখ্যায় সমতা ১-১ গোলে ড্র। পারো এফসির হয়ে এগিয়ে দেন সুমাইয়া মাতসুশিমা, তবে দ্বিতীয়ার্ধে আরটিসির হয়ে সমতা ফেরান পেমা চোডেন। ম্যাচ শেষে জয় না পাওয়ায় হতাশ আরটিসির ফরোয়ার্ড তহুরা খাতুন।
ম্যাচ শেষে তহুরা বলেন, ‘ওনারা (আরটিসি) আমার থেকে অনেক কিছু আশা করেছেন, হয়ত সেটা হচ্ছে না, মিস হচ্ছে। শামসুন্নাহার আর আমার দুজনেরই অনেক মিস হয়েছে। ”
নিজের খেলা নিয়ে হতাশ তহুরা আরও যোগ করেন, “ব্যক্তিগতভাবে বলতে পারি যে, আমি অনেক সহজ গোল মিস করেছি, এজন্য অনেক মন খারাপ। এটা বুঝিয়ে বলতে পারব না। ”
বাংলাদেশ জাতীয় দলের এই ফরোয়ার্ডের এমন আত্মবিশ্লেষণ ফুটিয়ে তোলে একজন খেলোয়াড়ের আত্মসমালোচনার সাহস এবং উন্নতির ইচ্ছা।
ম্যাচটি মাঠে বসে উপভোগ করেন বাংলাদেশ নারী দলের বর্তমান অধিনায়ক আফঈদা খন্দকার প্রান্তিও। দেশের বাইরে ভুটানের লিগে এত বাংলাদেশি নারী ফুটবলারের অংশগ্রহণ নিঃসন্দেহে গর্বের। তবে তহুরার মতো খেলোয়াড়রা শুধু অংশ নিতে নয়, পারফর্ম করতেই এসেছেন এটাই যেন তার কথা ও চোখের ভাষা স্পষ্ট করে দেয়।
এআর/জেএইচ