নেপালের রাজনৈতিক অস্থিরতায় কার্যত হোটেলবন্দি হয়ে আছেন বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের খেলোয়াড়রা। জামাল ভূঁইয়া, রাকিব হোসেনসহ পুরো দল কটেজের ভেতরেই সময় কাটাচ্ছেন।
কবে দেশে ফেরা সম্ভব হবে—সে বিষয়ে এখনো নিশ্চিত কিছু জানাতে পারেনি কেউ। তবে মানসিক চাপের মাঝেও খেলোয়াড়রা ফিটনেস ধরে রাখতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
গত ৩ সেপ্টেম্বর দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলতে নেপাল যায় বাংলাদেশ দল। প্রথম ম্যাচে স্বাগতিকদের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করলেও রাজনৈতিক সহিংসতার কারণে বাতিল হয় দ্বিতীয় ম্যাচটি। এরপর থেকেই নিরাপত্তার কারণে দলটি হোটেল থেকে বের হতে পারছে না।
এ অবস্থায় আজ বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) খেলোয়াড়দের সর্বশেষ অবস্থা জানাতে একটি ভিডিও বার্তা প্রকাশ করেছে। তাতে মিডফিল্ডার সোহেল রানা বলেন, ‘এখন পরিস্থিতি কিছুটা ভালো। হোটেলের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে, সেনাবাহিনী দায়িত্ব নিয়েছে। ঝুঁকি নেই বললেই চলে। পরিবারের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ হচ্ছে, আর আমরা ফিটনেস ট্রেনিং চালিয়ে যাচ্ছি। ’
বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল এবং ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া দলের প্রত্যাবর্তনের জন্য চেষ্টা চালাচ্ছেন। তবে এখনও ফেরার সুনির্দিষ্ট সময় জানানো যায়নি।
এদিকে দুর্নীতিবিরোধী সহিংস বিক্ষোভের জেরে নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে. পি. শর্মা অলি পদত্যাগ করায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়েছে।
এই অনিশ্চয়তার প্রভাব পড়তে পারে বাংলাদেশের ঘরোয়া ফুটবলেও। আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর চ্যালেঞ্জ কাপ দিয়ে শুরু হওয়ার কথা নতুন মৌসুম, আর ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে মাঠে গড়াবে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ। অথচ বসুন্ধরা কিংস ও মোহামেডানের একাধিক খেলোয়াড় এখনো নেপালে আটকে রয়েছেন।
ফলে জাতীয় দলের পাশাপাশি ঘরোয়া লিগের প্রস্তুতিও এখন ঝুলে আছে ফুটবলারদের নিরাপদ প্রত্যাবর্তনের ওপর। একই অনিশ্চয়তায় আছেন সেখানে থাকা ক্রীড়া সাংবাদিকরাও।
এআর/এমএইচএম