ক্লাব ও জাতীয় দলের হয়ে নিজের অবিশ্বাস্য গোলের ধারা অব্যাহত রেখেছেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। তার টানা দশম ম্যাচে গোলের সুবাদে ২০২৬ বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে ফ্রান্সও নিজেদের জয়ের যাত্রা ধরে রেখেছে।
রিয়াল মাদ্রিদের এই ফরোয়ার্ড প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময়ে আজ়ারবাইজানের রক্ষণভাগকে দুর্দান্তভাবে কাটিয়ে বল জালে জড়ান, যা ছিল তার ৫৩তম আন্তর্জাতিক গোল। চলতি মৌসুমে এটি এমবাপ্পের ১৭তম গোল এবং ফ্রান্স ও রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে খেলা ১৩টি ম্যাচের মধ্যে ১২টিতেই তিনি গোল করার কৃতিত্ব দেখালেন।
ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে গোলদাতার ভূমিকা থেকে সরে এসে গোল করানোর কারিগর হন ২৬ বছর বয়সী এই তারকা। ৬৯ মিনিটে তার নিখুঁত ক্রস থেকে হেডে ফ্রান্সের ব্যবধান দ্বিগুণ করেন এসি মিলান মিডফিল্ডার আদ্রিওঁ রাবিও।
গোড়ালির চোটের কারণে শুক্রবারের এই ম্যাচে এমবাপ্পের খেলা নিয়ে কিছুটা সংশয় ছিল। খেলা শেষ হওয়ার আট মিনিট আগে তিনি মাঠ ছাড়ার ইঙ্গিত দেন। তার বদলি হিসেবে মাঠে নামেন লাঁসের মিডফিল্ডার ও নিউক্যাসল ইউনাইটেডের সাবেক খেলোয়াড় ফ্লোরিয়াঁ তোঁভা। ২০১৯ সালের পর জাতীয় দলে ফেরা তোঁভা দুর্দান্ত এক বাম পায়ের শটে গোল করে দলের বড় জয় নিশ্চিত করেন।
তবে রাতের নায়ক ছিলেন এমবাপ্পেই। ২০২৩ সালে ফ্রান্সের অধিনায়কত্ব পাওয়া এই ফরোয়ার্ড তার ক্যারিয়ারের সেরা মৌসুমের সূচনা উপভোগ করছেন।
যদিও এমবাপ্পে এই মুহূর্তে ইউরোপের সেরা ফর্মে থাকা খেলোয়াড়দের একজন, গোল করার পরিসংখ্যানে তিনি তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী আর্লিং হালান্ড এবং হ্যারি কেইনের চেয়ে কিছুটা পিছিয়ে আছেন। ম্যানচেস্টার সিটি ও নরওয়ের তারকা স্ট্রাইকার হালান্ড ১১ ম্যাচে ১৮টি গোল করেছেন, অন্যদিকে বায়ার্ন মিউনিখ ও ইংল্যান্ডের অধিনায়ক হ্যারি কেইনের রেকর্ড আরও ঈর্ষণীয়; তিনি ১০ ম্যাচে করেছেন ১৮ গোল। এই দুজনও এমবাপ্পের মতো চলতি মৌসুমে একটি ছাড়া বাকি সব ম্যাচেই গোল করেছেন।
তবে চ্যাম্পিয়নস লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় শীর্ষস্থানটি এমবাপ্পের দখলে। ফরাসি এই তারকা দুই ম্যাচেই করেছেন পাঁচটি গোল। তালিকায় চারটি গোল নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছেন কেইন এবং তিনটি গোল করে হালান্ড রয়েছেন যৌথভাবে তৃতীয় স্থানে।
এমএইচএম