ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে আর্জেন্টিনা ১-০ গোলে জয় পেলেও মাঠে ছিলেন না দলের প্রাণভোমরা লিওনেল মেসি। তবে হার্ড রক স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে বসে পরিবারের সাথে খেলা উপভোগ করেছেন তিনি।
অধিনায়কের অনুপস্থিতির মূল কারণ হলো, কোচিং স্টাফ তাকে বিশ্রাম দেওয়ার ওপর অগ্রাধিকার দিয়েছিলেন। গত এক মাসে ইন্টার মায়ামির হয়ে ২৭ দিনের মধ্যে সাতটি ম্যাচ খেলায় তার উপর ব্যাপক ধকল গেছে। এই ম্যাচগুলোর মধ্যে নিউ ইয়র্ক এবং টরন্টোর মতো লম্বা সফরের ক্লান্তিও ছিল। এমএলএস-এর নিয়মিত মৌসুমের শেষ দিকের এই ম্যাচগুলো প্লে-অফে সেরা অবস্থান নিশ্চিত করার জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
ম্যাচের আগেই স্কালোনি নিশ্চিত করেছিলেন যে মেসি খেলবেন না এবং এর কারণ ব্যাখ্যা করে বলেছিলেন, 'আমরা ওর সঙ্গে কথা বলেছি, এই ম্যাচগুলো নতুন কিছু চেষ্টা করে দেখার জন্য, তবে আমরা ওর সঙ্গে কথা বলেই সিদ্ধান্ত নেব। আমি ভিন্ন বিকল্প চেষ্টা করতে চাই কারণ এই ম্যাচগুলো সেরকম সুযোগের জন্যই। '
আলবিসেলেস্তে অধিনায়ক মায়ামির স্টেডিয়ামে তার পরিবারের সাথে উপস্থিত ছিলেন। সেখানে গ্যালারিতে বসে তিনি মাতে (এক প্রকার পানীয়) পান করতে করতে সতীর্থদের খেলা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করেন। জিওভানি লো সেলসোর প্রথমার্ধের গোলে দল জয় নিশ্চিত করে। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে কোচের অবস্থান আরও স্পষ্ট হয়। তিনি বলেন: 'ও খেলেনি কারণ আমি সেই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। '
মেসিকে বিশ্রাম দিয়ে লাউতারো মার্তিনেস এবং হুলিয়ান আলভারেজকে একসঙ্গে খেলানোর কারণ সম্পর্কে কোচ বিস্তারিত বলতে চাননি। তিনি বলেন, 'আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যে লিও খেলবে না, আমরা লাউতারো এবং হুলিয়ানকে একসাথে চেষ্টা করতে চেয়েছিলাম এবং বেঞ্চে ফ্লাকো লোপেজও ছিল। এটা আমার সিদ্ধান্ত ছিল। '
সবশেষে, দলের বর্তমান অবস্থা নিয়ে স্কালোনি বিশ্বকাপের প্রস্তুতির ওপর জোর দেন, 'আজ দল কেমন খেলছে সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয়, বরং বিশ্বকাপে তারা কেমন খেলবে সেটাই আসল। অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, অনেক সময় সংশয় নিয়ে বিশ্বকাপ শুরু করেও পরে খুব ভালো করা যায়। বিশেষ করে শারীরিকভাবে তারা শেষ মুহূর্তে কেমন অবস্থায় থাকে, সেটা জরুরি। শারীরিক দিকটাই আমাদের সব কোচের প্রধান উদ্বেগের বিষয়। '
এমএইচএম