হংকংয়ের কাই তাক স্পোর্টস সিটিতে আরও একবার প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখল বাংলাদেশ। পেনাল্টি গোলে পিছিয়ে পড়ার পর দ্বিতীয়ার্ধে রাকিব হোসেনের গোলে সমতায় ফিরে ১-১ গোলে ড্র করেছে হাভিয়ের কাবরেরার শিষ্যরা।
এর আগে ঘরের মাঠে প্রথম লেগেও হংকংয়ের বিপক্ষে বুক চিতিয়ে লড়াই করেছিল বাংলাদেশ। ৩-১ গোলে পিছিয়ে পড়ে ৩-৩ গোলে সমতা ফিরিয়েছিল। তবে এরপর শেষ মুহুর্তের গোলে স্বপ্নভঙ্গ হয় তাদের।
সেই ম্যাচের অভিজ্ঞতা থেকে আজ ম্যাচের শুরুতে রক্ষণাত্মক কৌশলে পাঁচ ডিফেন্ডার নিয়ে খেলা শুরু করে বাংলাদেশ। ফলে প্রথমার্ধে তেমন কোনো সুযোগ তৈরি করতে পারেনি তারা। বরং আক্রমণে এগিয়ে ছিল স্বাগতিক হংকংই। ২০ মিনিটে লিওন জোনসের হেড সহজেই গ্লাভসবন্দী করেন গোলরক্ষক মিতুল মারমা।
ম্যাচের ৩৪ মিনিটে বক্সের ভেতর হংকংয়ের ফের্নান্দো পেদরেইরাকে ফাউল করে বসেন অভিজ্ঞ ডিফেন্ডার তারিক কাজি। জাপানি রেফারি হিরোকি কাসারা সঙ্গে সঙ্গে পেনাল্টির বাঁশি বাজান। স্পট কিক থেকে গোল করতে ভুল করেননি হংকং অধিনায়ক ম্যাট অর। মিতুল মারমাকে ভুল দিকে পাঠিয়ে দলকে লিড এনে দেন তিনি। প্রথমার্ধের শেষ মুহূর্তে হামজা চৌধুরীর সামনে সুযোগ এলেও তা কাজে লাগানো যায়নি। ফলে এক গোলে পিছিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় বাংলাদেশ।
দ্বিতীয়ার্ধে সমতায় ফিরতে মরিয়া হয়ে ওঠে জামাল-হামজারা। আক্রমণের ধার বাড়িয়ে ব্যস্ত রাখে হংকংয়ের রক্ষণভাগকে। ৬৮ ও ৭১ মিনিটে ফাহিম ও জামাল ভূঁইয়া সুযোগ নষ্ট করেন। ৭৩ মিনিটে সাদের ক্রস থেকে সহজ সুযোগ হাতছাড়া করেন ফাঁকায় থাকা ফাহিম।
ম্যাচের ৭৬ মিনিটে বড় একটি ধাক্কা খায় হংকং। মাঝমাঠে সমিত সোমকে ফাউল করে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড (লাল কার্ড) দেখে মাঠ ছাড়েন ডিফেন্ডার অলিভার বেনজামিন। দশজনের প্রতিপক্ষের উপর চাপ আরও বাড়ায় বাংলাদেশ।
অবশেষে ৮৪ মিনিটে কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা মেলে। বদলি হিসেবে নামা ফয়সাল আহমেদ ফাহিমের ক্রস থেকে রাকিব হোসেনের দিকে বল বাড়িয়ে দেন আরেক খেলোয়াড়। সেই বল আলতো টোকায় জালে জড়িয়ে বাংলাদেশকে সমতায় ফেরান ফরোয়ার্ড রাকিব।
শেষের মিনিটগুলোতে জয়ের জন্য মরিয়া হয়ে একের পর এক আক্রমণ করেও গোলের দেখা পায়নি বাংলাদেশ। তবে প্রতিপক্ষের মাঠ থেকে পয়েন্ট নিয়ে ফেরার স্বস্তি পেয়েছে।
এআর/এমএইচএম