প্রাপ্তির সঙ্গে ব্যর্থতায় শেষ হলো ব্রাজিলের এশিয়া সফর। এবার তারা খেলবে আফ্রিকার দুটি দলের বিপক্সে।
গতকাল এক বিবৃতিতে ব্রাজিলিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন (সিবিএফ) জানিয়েছে, ১৫ নভেম্বর লন্ডনের এমিরেটস স্টেডিয়ামে সেনেগালের বিপক্ষে মাঠে নামবে কার্লো আনচেলত্তির দল। তিন দিন পর ফ্রান্সের লিল শহরে অনুষ্ঠিত হবে তিউনিসিয়ার বিপক্ষে দ্বিতীয় প্রীতি ম্যাচ।
সিবিএফের মতে, এই সূচি সাজানো হয়েছে বিশ্বকাপের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে, যাতে খেলোয়াড়রা বিভিন্ন ঘরানার ফুটবলের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে পারেন এবং আফ্রিকার দলগুলোর শারীরিক ফুটবলের অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারেন।
আন্তর্জাতিক বিরতির আগের দুটি ম্যাচে এশিয়ার প্রতিপক্ষের মুখোমুখি হয়েছিল ব্রাজিল। দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে ৫–০ গোলে জয় পেলেও পরের ম্যাচে জাপানের বিপক্ষে ৩–২ ব্যবধানে হেরে মাঠ ছাড়তে হয় আনচেলত্তির দলকে।
গত মে মাসে রিয়াল মাদ্রিদ ছাড়ার পর থেকেই ব্রাজিল জাতীয় দলের দায়িত্বে আছেন কার্লো আনচেলত্তি। তবে দল গুছিয়ে নেওয়ার সময় এখনও পাননি এই ইতালিয়ান কোচ। তাই বিশ্বকাপের আগে বিভিন্ন মহাদেশের দলের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ আয়োজনের মাধ্যমে খেলোয়াড়দের অভিজ্ঞতা বাড়াতেই এমন পরিকল্পনা ব্রাজিলের।
ব্রাজিল ফুটবল ফেডারেশন ইঙ্গিত দিয়েছে, আগামী প্রীতি ম্যাচগুলো ইউরোপের দুই শক্তিশালী দলের বিপক্ষে যুক্তরাষ্ট্রে আয়োজন করা হতে পারে। মার্চের মধ্যেই বিশ্বকাপের শুরুর একাদশ নির্ধারণ করতে চান আনচেলত্তি। টুর্নামেন্টের আগে রিও দে জেনেইরোর ঐতিহাসিক মারাকানা স্টেডিয়ামে নিজেদের শেষ প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে চায় তারা, যেখানে দেশীয় সমর্থকদের সামনে দলটির মনোবল আরও বাড়াতে চায় ব্রাজিলিয়ানরা।
আগামী নভেম্বরের এই দুটি প্রীতি ম্যাচ তাই ব্রাজিলের জন্য হবে নিজেদের সামর্থ্য যাচাইয়ের বড় সুযোগ। আফ্রিকার অন্যতম শক্তিশালী দুই দলকে প্রতিপক্ষ হিসেবে পাচ্ছে তারা। দুই বছর আগে লিসবনে সেনেগালের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে ৪–২ গোলে হেরেছিল ব্রাজিল। অন্যদিকে, তিউনিসিয়া সম্প্রতি বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বে জায়গা করে নিয়েছে দুই ম্যাচ হাতে রেখেই।
আনচেলত্তির নেতৃত্বে নতুন ব্রাজিল কতটা গুছিয়ে উঠতে পারে, সেটিই এখন দেখার বিষয়।
আরইউ