ঢাকা: ‘নাইজেরিয়ান ফুটবল ফেডারেশন প্রচারমাধ্যমে প্রকাশ করেছে যে আমি তাদের তিনজন কোচের সংক্ষিপ্ত তালিকায় আছি। আপনারা যেমন দেখেছেন আমিও ততটুকুই দেখেছি।
মঙ্গলবার (১২ জুলাই) বিকেলে বাফুফের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর গণমাধ্যমকে তিনি এসব কথা বলেন।
মূলত সেইন্টফিটের সঙ্গে এখন পর্যন্ত কোনো লিখিত চুক্তি স্বাক্ষর করেনি বাফুফে। তবে আগামী তিন-চারদিনের মধ্যেই প্রধান কোচ হিসেবে নিয়োগের এই চুক্তি স্বাক্ষর সম্পন্ন হবার কথা রয়েছে।
এদিকে বাফুফে থেকে সেইন্টফিটকে যে চুক্তিপত্রটি দেয়া হয়েছে সেই চুক্তিপত্রের কয়েকটি ধারা পর্যবেক্ষণের জন্য তিনি তার আইনজীবীর কাছে পাঠিয়েছেন জানিয়ে বলেন, আমি বাফুফের থেকে চুক্তিপত্রটি পেয়েছি। এটি ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করার জন্য আমার আইনজীবীর কাছে সেটি পাঠিয়েছি। যখন বাফুফে আমার কাছে চুক্তিটি পাঠিয়েছিলো তখন আমি যাত্রা পথে ছিলাম। তাই চুক্তিটি ভালোভাবে দেখতে পারিনি। আশাকরি আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই আমি চুক্তিটি চূড়ান্ত করতে পারবো।
এদিকে তিন মাসের কোচ হিসেবে দায়িত্ব পেয়ে আপাতত এশিয়ান কাপ প্লে অফ-২ এ ভুটানের বিপক্ষে জয়ই তার প্রথম ও প্রধান অ্যাসাইনমেন্ট বলে জানান এই বেলজিয়ান কোচ, ‘আপাতত আমার মূল লক্ষ্য হচ্ছে ভুটানের বিপক্ষে দু’টি ম্যাচের জন্য বাংলাদেশকে তৈরি করা। আশাকরি বাংলাদেশ বাছাইপর্বে এই চ্যালেঞ্জ পার হবে এবং পরবর্তীতে দীর্ঘ মেয়াদে বাংলাদেশের সঙ্গে আমি কাজ করতে পারবো। প্রাথমিকভাবে তিন মাস আমার এবং বাফুফের সম্পর্ক। এরপরই ভবিষ্যতের চিন্তা ভাবনা। ’
বাংলাদেশের সাথে চুক্তি স্বাক্ষরের পর নাইজেরিয়া ডাকলে কী করবেন? গণমাধ্যমের এমন প্রশ্নের জবাবে সেইন্টফিট জানান, যেহেতু নাইজেরিয়ার কাছ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব বা আমন্ত্রণ পাইনি তাই সে ব্যাপারে আমার করণীয় কি তা বলা আমার পক্ষে এখন সম্ভব না। রিয়াল মাদ্রিদও আমাকে ডাকতে পারে! যদি বাংলাদেশকে নিয়ে কাজ করার আগ্রহ আমার নাই থাকতো তাহলে আমি এখানে আসতাম না। আমি বাংলাদেশে এসেছি ভুটানের বিপক্ষে বাংলাদেশকে জেতাতে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪০ ঘণ্টা, ১২ জুলাই ২০১৬
এইচএল/এমআরপি