দর্শকরা পার্থক্যটা বুঝে ফেলেছিলেন সাত মিনিটেই। গেতাফের খেলোয়াড়রা যখন নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে লাল কার্ড দেখছিলেন, তখন রিয়াল মাদ্রিদের খেলোয়াড়রা ঠাণ্ডা মাথায় ম্যাচের ভাগ্য লিখছিলেন নিজেদের পক্ষে।
খেলার সবচেয়ে নাটকীয় সময়টা আসে ৭৭ থেকে ৮৪ মিনিটের মধ্যে। প্রথমে বদলি হিসেবে নামার মাত্র এক মিনিটের মধ্যেই ভিনিসিয়ুস জুনিয়রকে কনুই মেরে সরাসরি লাল কার্ড দেখেন গেতাফের ডিফেন্ডার আলান নিওম। খেলা থেমে যায় কিছুক্ষণ। এরপর খেলা শুরু হতেই গোলের দেখা পায় রিয়াল মাদ্রিদ।
আর্দা গুলেরের নিখুঁত থ্রু-পাস ধরে বক্সে ঢুকে ডান পায়ের নিচু শটে গোল করেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। গেতাফে গোলরক্ষকের হাত ছুঁয়ে বল জড়ায় জালে। ক্লাব ও জাতীয় দল মিলিয়ে এটি ছিল ফরাসি তারকার টানা একাদশ ম্যাচে গোল।
শেষ দিকে আরও বিপদে পড়ে গেতাফে। ম্যাচের ৮৪তম মিনিটে ভিনিসিয়ুসকে ফাউল করে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন আলেক্স সানক্রিস। নয়জনের দলে পরিণত হয় গেতাফে।
তবু যোগ করা সময়ের ষষ্ঠ মিনিটে সমতায় ফেরার সুবর্ণ সুযোগ পায় তারা। ডানদিক থেকে আসা ক্রসে বক্সে ফাঁকা অবস্থায় বল পান আবু কামারা, কিন্তু গোলরক্ষক থিবো কোর্তোয়া এগিয়ে এসে অসাধারণভাবে রুখে দেন তার শট।
রিয়ালের আক্রমণ ছিল শুরু থেকেই নিয়ন্ত্রিত। প্রথমার্ধে খুব বেশি স্পষ্ট সুযোগ তৈরি না হলেও বিরতির পর তারা ছন্দ খুঁজে পায়। পুরো ম্যাচে ২৩টি শট নেয় রিয়াল, যার ১০টি লক্ষ্যে। বিপরীতে গেতাফে ৭টি শটের মধ্যে মাত্র একটি রাখতে পারে টার্গেটে।
এই জয়ে ৯ ম্যাচে ৮ জয়ে রিয়ালের পয়েন্ট দাঁড়িয়েছে ২৪। সমান ম্যাচে ২২ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে নেমে গেছে শিরোপাধারী বার্সেলোনা।
আরইউ