ময়মনসিংহের রফিক উদ্দিন ভূইয়া স্টেডিয়াম থেকে: কাঠফাঁটা রোদে পুড়েই বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগের (বিপিএল) ম্যাচগুলোতে মাঠে ঘাম ঝরাতে হয়েছে ফুটবলারদের। প্রকৃতির এমন রুদ্ররুপই নিয়তি হয়ে উঠেছিল ময়মনসিংহের রফিক উদ্দিন ভূইয়া স্টেডিয়ামের ভাগ্যে।
মুষলধারে নয় গুড়িগুড়ি বৃষ্টি রূপ নিলো ফোঁটায়। এলোমেলো হয়ে গেলো প্রেস বক্স। বৃষ্টি যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে তিন তলা ছেড়ে নিচ তলার কনফারেন্স হয়ে উঠলো ঢাকা থেকে আগত মিডিয়া কর্মীদের অঘোষিত প্রেস বক্স।
ছন্দপতন ঘটালো ধারা বিবরণীতেও। দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়েই খানিক সময় ধারাভাষ্য দিতে দেখা গেলো ভাষ্যকারদের। বৃষ্টি আনন্দে আকাশ চিত্ত হলেও অপ্রস্তুত দর্শকদেরও ঠিকই ছাড়তে হলো সাধারণ গ্যালারি।
এসব অবশ্য মোটেও প্রভাব ফেললো না মাঠে। এমন আবহাওয়ায় রহমতগঞ্জ আর উত্তর বারিধারার খেলোয়াড়রা ফুটবলের উত্তেজনার রেণু ছড়ালেন মাঠে। রোদের তেজ উড়িয়ে দিয়ে মৃদুমন্দ বাতাসের আকাশ থেকে ঝরা টিপটিপ বৃষ্টিতেই জিতলো ফুটবল।
প্রথমার্ধের পর অতিরিক্ত দু’মিনিটের মাথায় খেলা গড়াতেই রহমতগঞ্জের একটি পরিকল্পিত আক্রমণ ঠেকাতে গিয়ে পেনাল্টি বক্সের মধ্যেই রহমতগঞ্জের একজনকে ফাউল করেন বারিধারার আরিফুল।
পরে পেনাল্টি থেকে রহমতগঞ্জের কঙ্গোর স্ট্রাইকার সিও জুনাপিও তিন কাঠিতে বল পাঠিয়ে দেন। ১-০ গোলে এগিয়ে থেকে প্রথমার্ধ শেষ করে রহমতগঞ্জ। উত্তর বারিধারার গোলরক রাজিব প্রথমার্ধেই দু’দুটি প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে না দিলে আরো গোলে এগিয়ে থাকতো দলটি।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই উত্তর বারিধারা ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণের মধ্যে দিয়েই খেলতে থাকে দু’দল। এ সময়টাতে জ্বলে উঠেন রহমতগঞ্জের স্ট্রাইকার রহমতগঞ্জের গাম্বিয়ার স্ট্রাইকার দাউদা সিসে।
ম্যাচের ৪৫ মিনিটের মাথায় ডি বক্সের বাইরে থেকে দুর্দান্ত শটে দ্বিতীয়বারের মতো পরাভূত করেন প্রতিপ কিপার রাজিবকে। গোল ব্যবধান ২-০ তে উন্নিত হবার পর পুরো নিয়ন্ত্রণ চলে যায় রহমতগঞ্জের মুঠোতে।
এ ম্যাচ চলাকালীন সময়ে বৃষ্টির ঝাপটায় প্রেসবক্স এলোমেলা হয়ে যাওয়ায় চরম ভোগান্তির মুখে পড়তে হয় ঢাকা থেকে আসা এবং স্থানীয় মিডিয়া কর্মীদের। এজন্য অনেকের মুখেই ছিল স্থানীয় জেলা ক্রীড়া সংস্থার কঠোর সমালোচনা।
ভবনের ছাদে চারিদিক খোলা রেখে শুধুমাত্র একখানা ত্রিপাল দেয়ার কারণে বৃষ্টির সময় তিন তলায় টিকতে পারেননি মিডিয়া কর্মীরা। জেলা ক্রীড়া সংস্থার এমন অব্যবস্থাপনার খেসারতও গুণতে হয়েছে তাদের। তবে এ নিয়ে মুখে কুলুপ আঁটেন জেলা ক্রীড়া সংস্থার কর্তা-ব্যক্তিরা।
বাংলাদেশ সময় ২০৪৬ ঘন্টা, আগষ্ট ১০, ২০১৬
এমএএএম/এমএমএস