ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফুটবল

‘রেফারি হলুদ কার্ডও দিতে পারতো’

এম.আব্দুল্লাহ আল মামুন খান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪০ ঘণ্টা, আগস্ট ১১, ২০১৬
‘রেফারি হলুদ কার্ডও দিতে পারতো’ ছবি: অনিক খান

ময়মনসিংহের রফিক উদ্দিন ভূইয়া স্টেডিয়াম থেকে: চলমান বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) হলুদ কার্ডের ছড়াছড়ি হলেও ছিল না কোনো লাল কার্ড। কিন্তু ফেনী সকার ক্লাবের সঙ্গে ম্যাচের ৫২ মিনিটের মাথায় এক লেফট মিডফিল্ডারকে কনুই দিয়ে আঘাত করে লাল কার্ড পেয়েছেন শেখ জামালের নির্ভরযোগ্য ডিফেন্ডার কেস্টু কুমার বোস।

ফলে হতাশা আর ক্ষোভে নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয়েছে তাকে।

দলের হেড কোচ মাসুদ কায়সার পারভেজ রেফারির সিদ্ধান্তকে সঠিক মনে করলেও মাঠ থেকে বহিষ্কৃত কেস্টু কুমার বোস জানান, ‘রেফারি ইচ্ছে করলেই ওই সময় আমাকে হলুদ কার্ড দিতে পারতেন। রেফারির ইচ্ছেমতো তিনি আমাকে লাল কার্ড দিয়েছেন। তবে, আমি তার সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছি। ’

বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) বিকেলে শেখ জামাল ও ফেনী সকার ক্লাবের মধ্যকার খেলা শেষে বাংলানিউজের সঙ্গে আলাপে এমন কথা বলেন কেস্টু।

খেলার শুরু থেকেই মাঠে আধিপত্য বজায় রাখে ঘরোয়া ফুটবলের জায়ান্ট কিলার শেখ জামাল। খেলার তিন মিনিটের মাথায় এনামুলের দেয়া গোলে এগিয়ে যায় শেখ জামাল। লিড নিয়েই প্রথমার্ধ শেষ করার পর ম্যাচের ৫২ মিনিটের মাথায় শেখ জামালের পরিকল্পিত একটি আক্রমণ ঠেকিয়ে দেন ফেনীর এক খেলোয়াড়।

এরপর ল্যান্ডিং’র ফ্রি কিকের সময় কেস্টু কুমার বোস প্রতিপক্ষ ফেনীর এক লেফট মিডফিল্ডারকে কনুই দিয়ে আঘাত করেন। বিষয়টি দৃষ্টি এড়ায়নি রেফারির। সঙ্গে সঙ্গেই তিনি পকেট থেকে লাল কার্ড দেখিয়ে তাকে মাঠ থেকে বের করে দেন।

ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনেও এ নিয়ে চলছিল আলোচনা। দলের হেড কোচ মাসুদ কায়সার পারভেজ রেফারির এ সিদ্ধান্তের বিষয়ে বলেন, পেছন থেকে ওদের বিদেশি একজন ডিফেন্ডার কেস্টুর জার্সি টেনে ধরেছিল। তখন ও নিজেকে সামলাতে পারেনি। কনুই দিয়ে আঘাত করেছে। আর তখনই রেফারি এ সিদ্ধান্ত নেন। ’

রেফারির সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছেন কী না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সাধারণত কোনো দল ২ গোলে লিড নিলে সেই দলের খেলোয়াড়দের প্রতি রেফারির সহমর্মিতা কমে যায়। কাজেই রেফারির সিদ্ধান্তটি যৌক্তিক। ’

কেস্টু মাঠ থেকে বেরিয়ে যাওয়ায় শেখ জামাল ১০ জন নিয়ে খেলেও মাঠে ঠিকই আধিপত্য ধরে রাখে। ওই সময় দলটি এগিয়ে ছিল ২-০ গোলে। এ নিয়ে বাংলানিউজের সঙ্গে কেস্টু বলেন, ‘পেনাল্টি ডি-বক্সে ওই খেলোয়াড়কে ব্লক করতে চেয়েছিলাম। আমার চেয়ে ওই খেলোয়াড় উচ্চতায় ছিল কম। সরিয়ে দেয়ার জন্য ওকে পুস করেছি। তখন ওর শরীরে কনুই লেগে যায়। রেফারির এ সিদ্ধান্ত আমি মেনে নিয়েছি। ’

আশাবাদী কেস্টু বলেন, দল না জিতলে খুব কষ্ট হতো। এখন সেই কষ্ট উবে গেছে। পরের ম্যাচ না খেলতে পারলেও মাঠে ফিরেই আবারো নিজের সেরা খেলা উপহার দেবেন, এমন দৃঢ়তা উচ্চারিত হয় কেস্টুর কণ্ঠে।

বাংলাদেশ সময়: ২০৩৫ ঘণ্টা, আগষ্ট ১১, ২০১৬
এমআরপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।