ময়মনসিংহের রফিক উদ্দিন ভূইয়া স্টেডিয়াম থেকে: গরমের দাপটে সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে না পারার কারণেই পয়েন্ট ভাগাভাগি করতে হয়েছে আরামবাগ ও রহমতগঞ্জকে। ম্যাচ শেষে দুই দলের কোচ জানান, পুরো ৯০ মিনিট মাঠে থাকাই দায় ছিল খেলোয়াড়দের জন্য।
তবুও ২-২ গোলের ড্র ম্যাচ নিয়েই সন্তুষ্ট দু’ কোচ সাইফুল বারী টিটু ও কামাল আহম্মেদ বাবু।
মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) বিকেলে ময়মনসিংহের রফিক উদ্দিন ভূইয়া স্টেডিয়ামে ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিমত প্রকাশ করেন তারা।
আরামবাগের কোচ সাইফুল বারী টিটু জানান, নিজেদের ৫টি ম্যাচেই প্রথম দিকে গোল করেছি আমরা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পারিনি। এ ম্যাচে শেষ পর্যন্ত ১ পয়েন্ট পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার। ম্যাচ না জিতলে লিগে ভালো অবস্থানে থাকাটা কঠিন।
তিনি আরও বলেন, আমাদের কাউন্টার অ্যাটাক করা ফুটবলার জাফর এদিন ছন্দে ছিলো না। এ ধরনের ম্যাচে লিড নেয়ার পর আরো অ্যাটাকিং প্লেয়ার আমাদের দলে নেই।
দ্বিতীয়ার্ধে কেন ডিফেন্সিভ ফুটবল খেলেছে আরামবাগ এ প্রশ্নের জবাবে কোচ বলেন, আমাদের সেন্টারব্যাক ইছা জ্বর থেকে সবেমাত্র উঠেছে। তার কাছ থেকেও শুনেছি সে কুলিয়ে উঠতে পারছে না। ফলে ঘুরেফিরে এ ধরনের রেজাল্টই আমাদের মেনে নিতে হবে।
রহমতগঞ্জের কোচ কামাল আহম্মেদ বাবু জানান, যে আবহাওয়া তাতে এক পয়েন্ট পেয়েছি এটাই ভাগ্যের ব্যাপার। এ ম্যাচে আমরা হেরে যেতে পারতাম। আমার গোলরক্ষকের শরীর ভালো ছিল না। দ্বিতীয়ার্ধে সে নামতেই চায়নি। আমরা অনেক সুযোগ পেয়েছি। কিন্তু কাজে লাগাতে পারিনি।
তিনি আরও বলেন, আমরা ড্র করেই সন্তুষ্ট। তবে ড্র করাটা আমাদের লক্ষ্য ছিল না। আমাদের থলিতে ৮ পয়েন্ট ছিল। কাজেই ড্র করার কোনো চিন্তাই আমাদের ছিল না।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫২ ঘণ্টা, আগষ্ট ১৬, ২০১৬
এমএএএম/এমআরপি