ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফুটবল

কৃষ্ণার জোড়া গোলে বাছাইপর্বে অপরাজেয় বাংলাদেশ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩০৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৫, ২০১৬
কৃষ্ণার জোড়া গোলে বাছাইপর্বে অপরাজেয় বাংলাদেশ ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: অপরাজিত থেকেই এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাইপর্বের খেলা শেষ করলো বাংলাদেশের অদম্য কিশোরীরা। সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে ৪-০ গোলে জিতে টানা পাঁচ ম্যাচ জিতলো খুদে টাইগ্রেসরা।

ইরান, সিঙ্গাপুর, কিরগিজস্তান ও চাইনিজ তাইপের বিপক্ষে টানা চার ম্যাচ জয়ের পর নিজেদের পঞ্চম ও শেষ ম্যাচে অধিনায়ক কৃষ্ণা রানী সরকারের জোড়া গোলে প্রত্যাশিত জয় নিয়ে বাছাইপর্ব শেষ করে কোচ গোলাম রব্বানি ছোটনের শিষ্যরা।

আর এই জয়ে পূর্ণ পয়েন্ট নিয়ে এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের মূল পর্বে পৌঁছে গিয়েছে বাংলাদেশ। যদিও ৩ সেপ্টম্বর তাইপের বিপক্ষে ৪-২ গোলে জয় নিয়ে আগেই কৃষ্ণা-সানজিদারা মূল পর্ব নিশ্চিত করে।

সোমবার (০৫ সেপ্টম্বর) বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে কিক অফের শুরু থেকেই সংযুক্ত আরব আমিরাতের উপর চড়াও হয় বাংলাদেশ।

ম্যাচের বয়স যখন ২ মিনিট তখন আমিরাতের বক্সের ভেতরে বল নিয়ে গিয়েছিলেন অধিনায়ক কৃষ্ণা রানী। ভেতরে ঢুকে শটও নিয়েছিলেন, কিন্তু তার শটটি রুখে দেন গোলরক্ষক দালাল আব্দুল্লাহ। এ যাত্রায় ব্যর্থ হলেও এর ঠিক পরের মিনিটেই সফলতা পায় স্বাগতিকরা। মার্জিয়ার কর্নার থেকে আসা বল কৃষ্ণা রানী দৃষ্টিনন্দন হেড থেকে দলকে ১-০ তে এগিয়ে দেন।   

এগিয়ে যাবার মিশনে ২৬ মিনিটে আরেকবার বেশ কাঁপন ধরানো এক আক্রমণ রচনা করে মারিয়া চেয়েছিলেন ব্যবধান বাড়াতে। কিন্তু তার দূর পাল্লার শটটি প্রতিহত করেন দালাল আব্দুল্লাহ।

তবে কিছুটা অবাকই করেছেন শামসুন্নাহার। ৩৬ মিনিটে নিশ্চিত গোলের লক্ষ্যে আমিরাতের বক্সের ভেতরে ঢুকে পড়েছিলেন কৃষ্ণা। সেখানে তাকে ফাউল করেন মিডফিল্ডার মরিয়ম। ফলে পেনাল্টি পায় বাংলাদেশ। কিন্তু সেই পেনাল্টি থেকে শামসুন্নাহার বল জালে জড়াতে ব্যর্থ হন। গোলবারের বাইরে দিয়ে শট নেন তিনি।

ফলে ১-০ তে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় স্বাগতিক বাংলাদেশ।

বিরতির পর যেন আরও ক্ষুরধার বাংলাদেশ। ব্যবধান বাড়াতে দলটির গোলক্ষুধা রীতিমতো অবাক করেছে দর্শকদের। রক্ষণভাগ থেকে শুরু করে মাঝমাঠ ও আক্রমণভাগে কৃষ্ণাদের দাপট ছিল দেখার মতো।
 
তেমনই দাপুটে মনোভাব নিয়ে ৫২ মিনিটে সানজিদা কর্নার থেকে নেন রংধনু শট। তার সেই শট থেকে আসা বলটি কৃষ্ণা মাথার নিখুত ছোঁয়ায় দলকে এনে দেন ২-০’র ব্যবধান।

কৃষ্ণার দিনে বসে ছিলেন না অনুচিং মোগিনিও। ৫৯ মিনিটে বক্সের ভেতর থেকে প্লেসিং শটে স্কোর লাইন ৩-০ তে নিয়ে গেলে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় সংযুক্ত আরব আমিরাত।

কৃষ্ণা, অনুচিংয়ের পর দলীয় ব্যবধান বাড়ান তহুরা। ৮৬ মিনিটে মনিকার ক্রস থেকে মিডফিল্ডার তহুরার হেড আরব আমিরাতের জালে জড়ালে ৪-০’র অধরা ব্যবধানে পৌঁছে যায় বাংলাদেশের ফুটবলে নতুন দিনের জয়যাত্রীরা।

এখানেই থেমে থাকেনি বাংলাদেশ। আরও বেশ কয়েকবার আমিরাতের রক্ষণকে নাস্তনাবুদ করে ব্যবধান বাড়াতে চেয়েছিল। কিন্তু সেটা না হলে ৪-০ এর ব্যবধানে জয় নিয়ে অপরাজিত চ্যাম্পিয়নের তকমা নিয়েই মাঠ ছাড়ে লাল-সবুজরা।

বাংলাদেশ সময়: ১৩০৩ ঘণ্টা, ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬
এইচএল/এমআরপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।