২০১০ সালে বান্ধবী এলিজা সামুদিউকে হত্যা করেন ব্রুনো। তাতে ২২ বছরের জেলও হয় ব্রুনোর।
ব্রুনোর এজেন্টের দাবী, ‘সে এখন প্রচুর প্রস্তাব পাচ্ছে। অন্তত ১০টি ক্লাব ব্রুনোকে দলে নিতে আগ্রহী। আমরা আপাতত ক্লাবগুলোর নাম প্রকাশ করতে চাইছি না। চুক্তিগত কারণেই আমরা ক্লাবগুলোকে সবার সামনে আনছি না। ’
বেশ দাপটের সঙ্গেই ব্রাজিলের শীর্ষ ক্লাব ফ্ল্যামিঙ্গোর হয়ে খেলেছেন ব্রুনো। ঘরের মাঠে অনুষ্ঠেয় বিশ্বকাপের (২০১৪ সালে) জন্য ব্রুনোকেই সেলেকাওদের প্রথম পছন্দ ছিল। কিন্তু, তার আগেই তাকে জেলের ঘানি টানতে হয়। পরে ক্লাব থেকেও তাকে বরখাস্ত করা হয়।
গোলরক্ষক ব্রুনোর বিরুদ্ধে বান্ধবী এলিজা সামুদিউকে খুন করার অভিযোগ ওঠে। নিজের সন্তানের সামনেই তিনি এই হত্যাকাণ্ড চালান। এরপর এলিজার দেহ কেটে পোষা কুকুরকে দিয়ে খাওয়ানোর বীভৎস ঘটনার জন্মও দিয়েছেন ব্রুনো। শ্বাসরোধ করে হত্যার পর কুকুরকে খাওয়ানোর কথা স্বীকার করলেও এই অপরাধের দায় অবশ্য নিজের কাঁধে নেননি ব্রুনো। বরং এই মামলার অন্য দুই আসামির ওপর চাপিয়ে দেন।
এই হত্যাকাণ্ড এবং মামলাটি ব্রাজিলে বেশ আলোড়ন তুলেছিল। ব্রুনোর এই নৃশংসতার ঘটনার পরও ঠান্ডা মাথার ভয়ঙ্কর এই খুনীকে দলে পেতে কেন ১০টি ক্লাব প্রতিযোগিতায় নেমেছে সেটি নিয়েও আলোচনা-সমালোচনায় মেতেছে ফুটবল বিশ্ব।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৫ ঘণ্টা, ০৫ মার্চ ২০১৭
এমআরপি